কাশ্মীরে একটি মসজিদের সম্মানিত ইমাম ১০ মাস পরে বন্ড প্রদান করে জামিন পেয়েছেন। UAPA চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, ইমাম সাহেব “এক ব্যক্তির মেয়ের চিকিৎসার জন্য ৫০০ রুপি দিয়েছেন।”
কাশ্মীরি সেই মসজিদের ইমামের নাম জাভেদ আহমেদ লোন। সন্ত্রাস-তহবিলের একটি মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরবর্তিতে ইমাম সাহেব ৩০,০০০ রুপি ব্যক্তিগত বন্ড দিয়ে ২০ ডিসেম্বর দিল্লির একটি আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
জাভেদ আহমেদ লোনকে জামিন দেওয়ার সময় আদালত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বলেছে, কোনও ব্যক্তিকে বাড়ি তৈরি করতে বা কোনও ব্যক্তিকে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করাকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।
বিশ্লেষকগণ প্রশ্ন তুলেছেন, আর্থিক সহায়তা প্রদান করা অপরাধ না হলে কেন সম্মানিত একজন ব্যক্তিকে ১০ মাস জেলে আটকে রাখা হলো? কেন আবার তাকে ৩০,০০০ রুপি ব্যক্তিগত বন্ড প্রদান করে জামিন নিতে হবে?
এনআইএ অভিযোগ তুলেছিল যে, জাভেদ আহমেদ লোন মুসলিম স্বাধীনতাকামী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামী কাশ্মীরের সদস্য ছিলেন। কিন্তু এ দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।
ইমাম সাহেব এক ব্যক্তিকে বাড়ি তৈরির জন্য কিছু আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং মেয়ের চিকিৎসার জন্য অন্য একজনকে ৫০০ রুপি দিয়েছিলেন। এটাকেই জামাত-ই-ইসলামী কাশ্মীরের-তহবিলে অর্থ দেয়া হিসেবে আদালতে অভিযোগ করে হিন্দুত্ববাদী তদন্ত সংস্থা।
এভাবেই হিন্দুত্ববাদী সংস্থাগুলো কোন ধরণের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মুসলিমদের হয়রানি করছে, বহু মুসলিমকে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখেছে।
হিন্দুত্ববাদী সংস্থাগুলো মুসলিমদের হামলা মামলা করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে চায়। তবে হিন্দুত্ববাদীদের ত্রাস হয়ে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাওহিদবাদী কাশ্মীরি গেরিলা যোদ্ধারা।
তথ্যসূত্র:
১। Kashmir: Mosque imam gets bail after 10 months, UAPA chargesheet alleges “gave ₹500 to a man for daughter’s treatment” – https://tinyurl.com/5n6cu88d