ভারতের আহমেদাবাদে কথিত ‘সন্ত্রাসবাদের’ মিথ্যে মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত মাওলানা আবদুল কাভি সহ বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাড়া পেয়েছেন। আহমেদাবাদের পোটা আদালতে মামলার কোন ধরণের ভিত্তি প্রমাণ ও সাক্ষী, সত্যতা না থাকায় মাওলানা আবদুল কাভি সহ ৫ জনকে মুসলিমকে মিথ্যে অভিযোগ থেকে খালাস দিতে বাধ্য হয়েছে।
মাওলানা আবদুল কাভি’র বিরুদ্ধে টিফিন বোমা বিস্ফোরণ এবং প্রাক্তন এইচএম হরেন পান্ড্য হত্যার অভিযোগও ছিল। কিন্তু কোন ধরণের প্রমাণ না থাকায় বিচারক শুভদা কৃষ্ণকান্তের আদালতে মাওলানা আবদুল কাভি, গোলাম জাফর, আদিল, আবদুর রাজ্জাক, শাকিল, মতিউল্লাহ সাহেবকে দীর্ঘ সময় পর এখন সব অভিযোগ মিথ্যে ঘোষণা দিয়ে খালাসের রায় দেয়।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে, গুজরাট দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতে এবং তৎকালীন সিএম মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য আইএসআই থেকে প্রশিক্ষণ নিতে অনেক লোককে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল বলেও অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ অভিযোগেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এই কথিত অভিযোগ এনে হাজার হাজার মুসলমানের জীবন নষ্ট করছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। কে ফিরিয়ে দেবে তাদের জীবনের মূলবান সময়গুলো?
বছরের পর বছর জেলে থাকার পর বেকসুর খালাস, মুসলমানদের উপর এই নির্মমতার গল্প আর কতদিন চলবে? জীবন-সন্তান রেখে, তাদের কপালে অপরাধের মিথ্যে কলঙ্ক দিয়ে দমিয়ে রাখা কবে শেষ হবে? অনেক নিরপরাধ মুসলিম এখনও জেলে বন্দী হয়ে আছেন।
এই নিরীহ মুসলিমদের অভিযুক্তকারী প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু এসব হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের কিছুই হবে না। আর এটা জেনেই তারা মুসলিম যুবকদের সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে। জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে বছরের পর বছর জেলে থাকার পর কাউকে ছেড়ে দেয়। কিংবা অনেকে কারাগারেই মৃত্যুবরণ করে।
তথ্যসূত্র:
——-
1. अहमदाबाद की पोटा अदालत ने मौलवी मौ० अब्दुल कवि समेत 5 लोगों को आतंकवाद केस में 20 साल बाद किया बरी,आरोप था कि उन्होंने गुजरात दंगे का बदला लेने व तत्कालीन CM मोदी को मारने की साजिश के लिए कई लोगों को ISI से ट्रेनिंग लेने पाकिस्तान भेजा था,सभी बरी किये गये!
– https://tinyurl.com/2p97vckr