পাকিস্তানে টিটিপির অভিযানে ২ মাসে হতাহত ৩৫৩ সেনা

- আলী হাসনাত

0
704

পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ও বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। দলটির অফিসিয়াল চ্যানেল এবং এর অধিভুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে দেশ জুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৬২টি অভিযান পরিচালনা করছেন টিটিপি যোদ্ধারা। এতে সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩৫৩ সদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই অভিযানগুলোর বিস্তারিত পরিসংখ্যান ইনফোগ্রাফী আকারে প্রকাশিত হয়েছে দলটির অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে। এতে মুজাহিদদের অপারেশনগুলোর প্রকৃতি, অবস্থান এবং শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেখানো হয়েছে।

বিবরণ অনুযায়ী, গত জুন মাসে পাকিস্তানের ২৪টি জেলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীগুলোর উপর মোট ৬৪টি আক্রমণ চালিয়েছেন টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধারা। অপরদিকে জুলাই মাসে দেশটির ২৪টি জেলায় মোট ৯৮টি অভিযান চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। টিটিপির এসব অভিযানের মধ্যে ১৬টি টার্গেট কিলিং, ১৯টি গেরিলা যুদ্ধ, ২৫টি সম্মুখ লড়াই, ৪৭টি স্নাইপার আক্রমণ, ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, ১৮টি বোমা বিস্ফোরণ, ৭টি জবাবি অভিযান এবং ১৬টি অতর্কিত অপারেশন পরিচালনা করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা কোন ইস্তেশহাদী অপারেশন পরিচালনা করেন নি।

বর্ণনা অনুযায়ী, জুন মাসে টিটিপি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানগুলোতে পাকি বাহিনীর ৭৩ সদস্য নিহত এবং আরও ৮৩ সদস্য আহত হয়েছে। আর জুলাইয়ে নিহত হয়েছে ৯৪ পাকি সেনা সদস্য এবং আহত হয়েছে আরও ১০৩ সদস্য। সবমিলিয়ে এই দু’মাসে টিটিপির অভিযানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৬৭ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, আর আহত হয়েছে আরও ১৮৬ সেনা সদস্য।

প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির এসব সফল অভিযানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীগুলো ব্যাপক আর্থিক ও যান্ত্রিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

টিটিপির দেওয়া তথ্য মতে, শত্রু বাহিনীর ১৭টি নজরদারি গোপন ক্যামেরা, ১টি মোটরসাইকেল, ১৫টি গাড়ি এবং ৪টি সামরিক চৌকি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা; আর তাদের অনেক সামরিক সরঞ্জামও তাঁরা পুড়িয়ে দিয়েছেন, যাতে করে পরবর্তীতে এগুলো আবার পাকি বাহিনী ব্যবহার করতে না পারে। আর মুজাহিদগণ গনিমত হিসাবে তাদের কাছ থেক জব্দ করেছেন বিভিন্ন ক্যালিবারের ১২টি অস্ত্র।

উল্লেখ্য যে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিটিপি বর্তমানে অনেক সুসংগঠিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে, যা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে গত ২০২০ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে তাঁরা নতুনভাবে পশ্চিমা সমর্থিত পাকি সেনা-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাবুলের চেয়ে দেড় গুণ বড় নতুন কাবুল সিটি নির্মাণের ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধউত্তর প্রদেশে বয়োজ্যেষ্ঠ মুসলিম দম্পতিকে পিটিয়ে খুন