ইসরায়েলকে ভয়ংকর বিধ্বংসী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা দিয়েছে আমেরিকা

- মুহাম্মাদ মহসিন

0
499

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ব্যবহারের জন্য দখলদার ইসরায়েলকে ১০০টি বাংকারবিধ্বংসী বোমা দিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে জায়নবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এই কথিত বিশ্বমোড়ল। আমেরিকার একাধিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

বিএলইউ-১০৯ নামের এই ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমাগুলো শক্ত কাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম। নাম না প্রকাশের শর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এ ধরনের ১০০টি বোমা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস কায়েমের অংশ হিসেবে এসব বোমা এর আগে আফগানিস্তানে ব্যবহার করেছিল আমেরিকান সেনারা।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় হামলার জন্য আমেরিকা ইসরায়েলকে ১৫ হাজার বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল পাঠিয়েছে। যেগুলো সি-১৭ মিলিটারি কার্গো বিমানে করে ইসরায়েলে পৌঁছে দিয়েছে আমেরিকা।

ইসরায়েলে পাঠানো ১৫ হাজার বোমার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার এমকে ৮২ বোমা, ৫ হাজার ৪০০ এমকে ৮৪ বোমা, প্রায় এক হাজার জিবিউ-৩৯ স্মল-ডায়ামিটার বোমা এবং প্রায় তিন হাজার জেডিএএমস।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, আমেরিকার পাঠানো বোমা দিয়ে গাজায় সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলাগুলো চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের একটি ভবনে ভয়াবহ হামলা। ওই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, আহত হয় আরও কয়েক শত ফিলিস্তিনি।

একদিকে আমেরিকা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য ইসরায়েলকে লোক দেখানো তাগিদ দিচ্ছে, আবার তারাই গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য ইসরায়েলকে ভয়ংকর বিধ্বংসী সব বোমা সরবরাহ করছে! বিশ্ববাসী ও গাজার অসহায় মুসলিমদের সাথে এটি আমেরিকার নির্লজ্জ প্রতারণা বৈ কিছু নয়।



 

তথ্যসূত্র:
————-
1. US sends ‘bunker buster’ bombs to Israel for war on Gaza, report says
https://tinyurl.com/njfuhjum
2. U.S. Sends Israel 2,000-Pound Bunker Buster Bombs for Gaza War
https://tinyurl.com/5n7srjy8

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
পরবর্তী নিবন্ধপ্রত্যাবর্তনকৃত শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান বিষয়ক আফগান হাই কমিশনের প্রতিবেদন (২রা ডিসেম্বর)