
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামের অপরাধীদের ‘কল্পনাতীত শাস্তি’ দেওয়ার ঘোষণার পর উপত্যকায় শুরু হয়ে গেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘বুলডোজার নীতি’। ২২ এপ্রিলে ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় একজনকেও ধরতে না পারলেও জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসন ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার থেকে সন্দেহভাজনদের ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। শুক্রবার দুটি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ২৬ এপ্রিল, শনিবারও কেবল সন্দেহের বশে বুলডোজার চালিয়ে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে আরও দুই মুসলিম বাসিন্দার বাড়ি।
২৭ এপ্রিল, রবিবার দা ওয়্যার এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কাশ্মীরের অনন্তনাগ, বান্দিপোরা, কুপওয়ারা, কুলগাম, পুলওয়ামা এবং শোপিয়ান জেলায় নয়জন মুসলিম বাসিন্দার পরিবারের আবাসিক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার সাতটি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। শনিবার রাতে আরও দুটি বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর এই কৌশল একেবারেই নতুন। এতকাল নানাভাবে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু স্রেফ সন্দেহের বশে কারও বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি। বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র বা গুজরাটের ‘বুলডোজার নীতি’ এবার চালু হয়ে গেল কেন্দ্রশাসিত জম্মু–কাশ্মীরেও।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় যে দুই বাড়ি শনিবার ভেঙে দেওয়া হয়—তার একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, অন্যটি বুলডোজার চালিয়ে।
বিজেপিশাসিত রাজ্যে বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার মন্তব্য করেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হলেও কোনো স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার আগে সরকার বা প্রশাসনকে আইন মানতে হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়েছে। ভাঙচুরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর পরেও কেবল সন্দেহের বশে বিনা দ্বিধায় ও বাধায় বুলডোজার চালিয়ে বাড়ি ভাঙা অব্যাহত রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Despite SC Ruling, J&K Authorities Demolish Homes of Pahalgam Suspects, Others, Without Notice
– https://tinyurl.com/384j4z7x
2.Indian soldiers demolish homes of Pahalgam attack suspects in Kashmir
– https://tinyurl.com/34wm4whj