সোমালিয়ায় শাবাবের অগ্রগতি রোধে আরও ৮,০০০ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করতে চায় আফ্রিকান ইউনিয়ন

0
256

সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন ঘোষণা করেছে যে, দেশটিতে আশ-শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তাদের ৮,০০০ অতিরিক্ত সৈন্যের প্রয়োজন।

প্রায় দুই দশক ধরে সোমালিয়ায় পশ্চিমা দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে সেখানে একটি স্বাধীন ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। আলেমদের নেতৃত্বে ও দেশটির স্বাধীনচেতা জনগণের সমর্থন নিয়ে মুজাহিদিনরা ইতিমধ্যে দেশটির কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মুজাহিদিনরা তাদের নিয়ন্ত্রিত বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলগুলো ইসলামী শরিয়াহ্ দ্বারা পরিচালিত করছেন। সেই সাথে শরিয়াহ্’র ছায়াতলে ইসলামি ভূমির পরিধি বাড়াতে মুজাহিদিনরা দখলদার বাহিনী ও তাদের সমর্থনে টিকে থাকা মোগাদিশু বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অপারেশন অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে মুজাহিদদের এই অগ্রগতি রুখতে বরাবরের মতোই ইসলাম বিরোধী কুফরি শক্তিগুলো সর্বাত্মকভাবে মোগাদিশু সরকারকে সামরিক ও আর্থিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে ক্রুসেডার দেশগুলোর পাশাপাশি মিশরের সিসি প্রশাসন গত ২০২৪ সালে ঘোষণা করেছিল যে, তারা সোমালিয়ায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করবে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৫ সালের ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে দেশটিতে সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাবাহিনী পাঠাতে শুরু করে সিসি প্রশাসন। অপরদিকে তুরস্কও ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা সোমালিয়ায় অতিরিক্ত আরও ২৫০০ সেনা মোতায়েন করবে। এই ঘোষণার পর চলতি এপ্রিল মাসে তুরস্ক তিন ধাপে সোমালিয়ায় নতুন করে ৮০০ সেনা প্রেরণ করেছে।

এদিকে, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে (৩দিন) উগান্ডায় একটি বৈঠক করে আফ্রিকান ইউনিয়ন সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন। এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায়, সোমালিয়ায় একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা রোধ করতে আশ-শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।

উগান্ডায় অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলো জিবুতি, ইথিওপিয়া, মিশর, কেনিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়া, আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলো এবং বহুপাক্ষিক ইসলাম বিরোধী সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা দাবি করেছে যে, সোমালিয়ায় “অপর্যাপ্ত সংখ্যক সৈন্যের অভাব নিরাপত্তা ঘাঁটতি তৈরি করেছে, যা আশ-শাবাবের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করেছে। আশ-শাবাব মধ্য ও নিম্ন শাবেলি উভয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। ফলস্বরূপ, এই অঞ্চলের প্রাদেশিক রাজধানী জওহর এবং দেশের কেন্দ্রীয় রাজধানী মোগাদিশু উভয়ই আশ-শাবাবের কাছ থেকে আসন্ন হুমকির মুখে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা স্বীকার করে যে, প্রায় দুই দশক ধরে, আন্তর্জাতিক জোট দেশটিতে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা রোধে আশ-শাবাবের কাছে কৌশলগত ব্যর্থতার শিকার হচ্ছে। সোমালিয়ার বর্তমান এই নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় UNSOM বাহিনীতে অতিরিক্ত আরও ৮,০০০ সৈন্য মোতায়েনের সুপারিশ করেছে উপস্থিত কর্মকর্তারা। যেখানে পূর্ব থেকেই এই মিশনে সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়নের ১১,১৪৭ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/4marm78s

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবুরকিনায় শত্রু সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের সফল অভিযান: নিহত ২৮ শত্রু সেনা
পরবর্তী নিবন্ধপেহেলগাম হামলার দায় অস্বীকার করেছে টিআরএফ, সাইবার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ