গাজায় আল-কাসসামের হামলায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

0
161

ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড গত কয়েকদিনে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক সফল সামরিক অভিযান চালিয়েছে। উত্তরের বেইত লাহিয়ার আল-আতাত্রা অঞ্চলে এবং খান ইউনিসের আল-কারারা শহরে আল-কাসসাম যোদ্ধাদের নেতৃত্বে চালানো হামলায় ইসরায়েলি সৈন্যরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৫ মে, রবিবার উত্তরের গাজার বেইত লাহিয়ার আল-আতাত্রা এলাকায় ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর ১০ সদস্যের একটি পদাতিক দলকে লক্ষ্য করে অ্যান্টি-পার্সোনেল শেল দিয়ে আক্রমন করা হয়। এতে দখলদার সৈন্যদের মধ্যে নিশ্চিত নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া, খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় আল-কারারা শহরে একটি দ্বৈত অপারেশন চালানো হয়। আল-কাসসামের যোদ্ধারা একটি বাড়িতে ইহুদি সৈন্যদের অবস্থানের সন্ধান পেয়ে সেখানে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক স্থাপন করে। বিস্ফোরণে বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা হতাহত হয়। পরবর্তীতে আরেক দল ইসরায়েলি সৈন্য ঘটনাস্থলে এলে আল-কাসাম যোদ্ধারা একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় হেলিকপ্টার দিয়ে আহত ইহুদি সৈন্যদের উদ্ধার করতে দেখা যায়।

ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাবে লক্ষাধিক মানুষ অনাহারে রয়েছে। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না। এমতাবস্থায়, আল-কাসাম ব্রিগেডসহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গ্রুপগুলি ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫৪ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫,৮৪৬ জন। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ইসরায়েল তাদের ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে।


তথ্যসূত্র:
1. Hamas says several Israeli soldiers killed, injured in Gaza ambush
– https://tinyurl.com/ms6wew8v
2. Explosives and Tunnel Ambushes: Qassam Fighters Kill and Wound Israeli Soldiers
– https://tinyurl.com/ucbrhd6k

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধহকার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ফি ৪০ শতাংশ হ্রাস করেছে ইমারতে ইসলামিয়া
পরবর্তী নিবন্ধইমারতে ইসলামিয়া হতে পারে অঞ্চলীয় বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু : মাওলানা মুত্তাকী