
সম্প্রতি সরকারি মিডিয়া ও তথ্যকেন্দ্রের সংবাদ সম্মেলনে বিগত এক বছরে ইমারতে ইসলামিয়ার উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভী আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ। তিনি বলেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারগণের সাথে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও অর্থনীতি-কেন্দ্রিক নীতি অনুসরণ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া।
এর ফলে ইমারতে ইসলামিয়ার কূটনৈতিক মিশন ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের সূচনা হয়েছে।
তুরস্ক, রাশিয়া ও পাকিস্তানে ইতোমধ্যে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে তালিবান সরকারের কূটনৈতিক প্রতিনিধি বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া কাজাখস্তান শীঘ্রই একজন তালিবান রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। জার্মানি, নরওয়ে, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশসমূহে তালিবান সরকারের কূটনৈতিক প্রতিনিধি রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তানের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
রাশিয়া ইমারতে ইসলামিয়া সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি জানিয়েছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ। আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তাদের জন্য ১০০ এরও বেশি আনুষ্ঠানিক বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া রাজধানী কাবুলে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারপূর্ণ বিষয়াদির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন, পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও কূটনৈতিক মিশন সম্প্রসারণ।
সম্মেলনে তিনি আফগান-ট্রান্স রেলওয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু এবং টিএপিআই গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের চলমান অগ্রগতিকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে তুলে ধরেছেন। এছাড়া সিএএসএ-১০০০ প্রকল্পসহ প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক উদ্যোগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।
তথ্যসূত্র:
1. Foreign Minister Highlights One Year Achievements During a Program in Kabul
– https://tinyurl.com/yc2np5rv


