মিরপুরের টোলারবাগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারও এবার কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ডা. পলাশ নামে ওই চিকিৎসক রাজধানীর ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। খবরঃ আমাদের সময়
জানা গেছে, গতকাল রোববার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এই চিকিৎসকের। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তার নমুনা সংগ্রহ করে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। পরে সেই পরীক্ষায় ডা. পলাশের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সার্জন প্রেমাংশু বিশ্বাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ডা. পলাশ
ই এম ও, ডেল্টা হাসপাতাল
টোলারবাগের মারা যাওয়া প্রথম কোভিড পেশেন্টকে তিনিই রিসিভ করেছিলেন সেদিন ডেল্টা হাসপাতালে। তার ছিল না কোনো প্রোটেকশন, যেভাবে আমরা এখনো রোগী দেখছি। তখনো সেই মুমূর্ষু ব্যক্তির কোভিড শনাক্ত হয়নি। ভর্তি করার পর, তিনি কোভিড শনাক্ত হন এবং আইসিইউতে মারা যান।
ডা. পলাশেরও আজ কোভিড পজিটিভ এসেছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় এখন ডা. পলাশও আইসিইউতে। রোগী দেখার জন্য একটা পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট তাকে দিতে পারেনি এই রাষ্ট্র!
ধিক্কার…..’
ডা. পলাশ টোলারবাগের যে রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন তিনি গত শনিবার মারা যান। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন ৩০ বছর বয়সী এই চিকিৎসক।
এদিকে, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং তিনজন স্টাফকে করোনা আক্রান্তের শঙ্কায় হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তারা গত ২০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।