ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুসালেমে ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে, এমনকি এতে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরাও রয়েছেন।
ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী আজ মঙ্গলবার (৫ই মে) ভোররাতে অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে ‘ন্যাশনাল পপুলার কনফারেন্স অফ জেরুসালেমের’ ‘প্রধান বিলাল নাতশেহ’ এবং তার ‘অফিস ব্যবস্থাপক মুয়াত আশাব’, ‘আওকাফ বিভাগের নগরীর মুসলিম কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা’ ‘মোস্তফা আবু জাহরা’, ‘সাংবাদিক তামির ওবাইদাত’, ‘লেখক রানিয়া হাতেম’, কর্মী ‘ইমাদ আওয়াদ’ ও ‘জাদ আল-গৌল’ হচ্ছেন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাদের সহ আরো কয়েকজন মোট ১৩জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এই দখলদার রাষ্ট্রের হানাদার নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনি কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে।
ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্রের ইসরাইলি পুলিশ ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের আটকের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে যে, “করোনা প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় ‘অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে’ ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজ করা ইসরায়েলের সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি কয়েদীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের কম্পিউটার এবং সেলুলার ফোন এবং তাদের বাড়িতে পাওয়া অন্যান্য উপকরণগুলিও জব্দ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আজ আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানিয়েছে ইসরাইলী পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এই দখলদার রাষ্ট্রের হানাদার ইসরাইলী বাহিনী আরো কয়েকটি অভিযান চালিয়ে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির পর পূর্ব জেরুজালেমের ইসাভিহেহ এলাকার আরও ছয়জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের হানাদার বাহিনী এই বছরের শুরু থেকে এপর্যন্ত পূর্ব জেরুজালেমের প্রায়৬০০ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। এমনকি এই আটক করার ক্ষেত্রে নিষ্পাপ ফিলিস্তিনি নাবালকেরাও বাদ যায় নি।
উক্ত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আজ সকালে আটক হওয়া শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্নধরনের কারণ দেখিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত জেরুজালেমের গভর্নর ‘আদনান ঘাইথ’ এবং জেরুজালেম বিষয়ক মন্ত্রী ‘ফাদি হিদমিকে’ ইহুদীবাদী ইসরাইল বেশ কয়েকদিন যাবত আটক করে রেখেছিলো।পরবর্তীতে খুব কঠিন শর্তে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সুত্র : ইনসাফ টুয়েন্টিফোর ডটকম।