পাকিস্তানে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর ৩টি সফল অভিযান পরিচালনার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। এর ২ টিতেই সামরিক বাহিনীর অন্তত ৮ সদস্য হতাহত হয়েছে।
পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, যা সংক্ষেপে টিটিপি নামে পরিচিত। দলটি পূর্বেকার মাসগুলোর মত চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেও পাকিস্তান গাদ্দার প্রশাসনের সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।
ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে প্রতিরোধ বাহিনীর বীর যোদ্ধারা গত ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে পাকিস্তানি গাদ্দার সামরিক বাহিনীগুলোর উপর ৩টি হামলার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। যার প্রথমটি চালানো হয়েছে বাজোর এজেন্সীর আগ্রা এলাকায়। যেখানে গাদ্দার ‘এফসি’ বাহিনীর একটি গাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়।
টিটিপির মুখপাত্র- মুহাম্মদ খোরাসানীর (হা.) বর্ণান মতে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের উক্ত বোমা হামলার ঘটনায় গাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে তখন গাড়িতে থাকা ৪ এফসি সদস্য গুরুতর আহত হয়।
এই হামলার একদিন পর অর্থাৎ গত ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নওশেরা জেলায় হামলা চালান প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির বীর মুজাহিদরা। হামলার বিষয়ে টিটিপির মুখপাত্র জানান, প্রতিরোধ বাহিনীর টার্গেট কিলিং স্কোয়াডের বীর মুজাহিদরা এই হামলার মাধ্যমে দালাল পুলিশের এক এএসআই এবং অপর এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন। সেই সাথে দেসটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর আরও দুই সদস্যকে গুলি করে গুরুতর আহত করেন মুজাহিদরা।
এদিকে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আরও একটি বরকতময় হামলার কৃতিত্ব গ্রহন করেছে মুজাহিদ বাহিনীটি। দলটির মুখপাত্র তাঁর টুইট বার্তায় জানান, আজ বেলা ১১ টায় বীর মুজাহিদরা ডেরা ইসমাইল খান জেলায় ঐ সফল হামলাটি চালিয়েছেন। যা গাদ্দার সামরিক বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান টার্গেট করে চালানো হয়েছে। এতে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর গাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং আগুনে পুড়ে যায়।
তাই ধারণা করা হয় যে, এসময় গাড়িটিতে থাকা সমস্ত গাদ্দার সৈন্যই নিহত ও আহত হয়েছে।
টিটিপি’র এসকল লাগাতার অভিযানের বদৌলতে গাদ্দার পাকি আর্মি ও প্রশাসন উম্মাহর সাথে তাদের কৃত গাদ্দারির ফল ভালভাবেই ভোগ করছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।