সোমালিয়ার উত্তরে স্বায়ত্তশাসিত সোমালিল্যান্ড অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী আলেম শেখ আদান সুনে আশ-শাবাবে যোগ দিয়েছেন।
সোমালিল্যান্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে জানা গেছে যে, শেখ আদান সুনে, যাকে বেশ কয়েকদিন ধরে “নিখোঁজ” হিসাবে দেখানো হয়েছিল, তিনি উত্তরাঞ্চল ছেড়ে সোমালিয়ার দক্ষিণে চলে গেছেন।
বলা হয়েছে যে, বর্তমানে তিনি আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকান শাখা হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রিত জিলিব অঞ্চলে বসবাস করছেন। শেখ আদান এখন জিলিব অঞ্চলের প্রখ্যাত আলেম শাইখ আবদুর রহমান ওয়াসিমের সাথে অবস্থান করেছেন। এখানে শেখ আদান তার পরিবারের সাথে বসতি স্থাপন করেছেন।
সরকারি রিপোর্টে এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সোমালিল্যান্ড থেকে শেখ আদানকে সরিয়ে দিয়ে, কারা তাকে আশ-শাবাবের সাথে মিলিত হতে সহায়তা করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা যায় যে, আশ-শাবাবের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে শেখ আদান সোমালিল্যান্ড অঞ্চলের সবচাইতে প্রভাবশালী একজন আলেম ছিলেন। যার দ্বীনি মজলিশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতো। তিনি যুবকদের তাওহীদের উপর একত্রিত করতেন এবং ইসলামি শরিয়াহ্’র গুরুত্ব বুঝাতেন। ফলে যুবকদের বড় একটি অংশের মাঝেই তাঁর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তিনি যুবকদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানেও উৎসাহিত করতেন।
আর একারণে তিনি যুবকদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো অভিযোগের সম্মুখীন হন। এবং সরকার তাকে ২০১৯ সালে বন্দী করে। কিন্তু তাঁর প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর সমর্থনের ফলে তাকে বেশি দিন বন্দী করে রাখা যায়নি। ফলে ঐবছর সরকার শেখ আদানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
সম্প্রতি শেখ আদান হাফিজাহুল্লাহ্’র আশ-শাবাবে যোগদান সোমালিল্যান্ড ও সোমালি সরকার জন্য মরণ কামড় হয়ে দাড়িয়েছে।
অনুমান করা হচ্ছে যে, শেখ আদান হাফিজাহুল্লাহ্’র আশ-শাবাবে যোগদান সোমালিল্যান্ড ও সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের প্রভাব আরও কয়েকগুণ বাড়াতে পারে। কেননা সোমালিল্যান্ডে তাঁর হাজার হাজার ছাত্র ও পুরো সোমালিয়া জুড়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী ও ভক্তবৃন্দ।
এভাবেই আল্লাহ্র ইচ্ছায়, মুজাহিদদের কৌশলের কাচে পরাজিত হয় ইসলামের সত্রুরা, এমনটাই বলেছেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম।
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ এতে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে
Alhamdulillah