ইয়েমেনে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষের মাঝে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ধীরে ধীরে আরব আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়াদের উপুর প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন। এতে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে আল-কায়েদা, বিপরীতে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই প্রতিদিনই হতাহতের শিকার হচ্ছে আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়ারা।
স্থানীয় সূত্রমতে, এই সংঘর্ষ শুরুর পর চলতি সপ্তাহেও ইয়েমেনের আবইয়ান ও শাবওয়াহ রাজ্যে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আনসারুশ শরিয়াহ্। যাতে আরব আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর বহু সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়েছে।
এরমধ্যে গত ২৬শে নভেম্বর মুজাহিদগণ তাদের প্রথম হামলাটি চালান আবইয়ানের আল-মাহফাদ এলাকায়। যেখানে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাড়াটেদের একটি সামরিক যানকে লক্ষ্যবস্তু করেন মুজাহিদগণ। এতে গাদ্দার ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনীর অর্ধডজন সৈন্য হতাহত হয়।
এরপর ২৭ নভেম্বর আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় হামলাটি চালান শাবওয়াহ রাজ্যের আল-মুসিনা এলাকায়। যেখানে গাদ্দার শাবওয়া ডিফেন্সের একটি সামরিক কনভয়ে টার্গেট করে অতর্কিত হামলা চালান মুজাহিদগণ। এসময় মুজাহিদদের বোমা বিস্ফোরণে ২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়। সেই সাথে এই বাহিনীর ফার্স্ট ব্রিগেডের কমান্ডার (সালেম আল-জাবওয়ানি) তার ২ সঙ্গীসহ নিহত হয় এবং অন্যরা আহত হয়। স্থানীয় সূত্রমতে আহত সেনাদের সংখ্যা এক ডজনেরও বেশি।
এর একদিন পর, অর্থাৎ গত ২৮ নভেম্বর মুজাহিদগণ আবইয়ানের “মুদিয়া” এলাকায় হামলা চালান মুজাহিদগণ। যা গাদ্দার মিলিশিয়া বাহিনীর দুটি পদাতিক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের মাধ্যমে টার্গেট করা হয়। এই হামলার ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাড়াট বাহিনীর ডজনখানেক সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
মুজাহিদগণ তাদের সর্বশেষ হামলাটি চালান ২৮-২৯ নভেম্বর মধ্যরাতে আবইয়ানের ‘ওয়াদিয়ে ওমরান’ এলাকায়। যেখানে আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুজাহিদগণ একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে আরব আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়াদের টার্গেট করেন। এতে ভাড়াটে বাহিনীর আরও বেশ কিছু গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। সেই সাথে মিলিশিয়াদের একটি সামরিক যান ধ্বংস হয়, আলহামদুলিল্লাহ।
এভাবে লাগাতার হামলার মাধ্যমে গাদ্দার মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে বিপর্যস্ত করে যাচ্ছেন আল-কায়েদার প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ; আর এভাবে তাঁরা যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে নিজেদের দিকে নিয়ে আসছেন আলহামদুলিল্লাহ্।