একের পর এক রোহিঙ্গা মুসলিমবাহী বিপদগ্রস্থ নৌকার খবর আসছে। ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে প্রায় এক মাস সাগরে ভাসার পর আরও একটি রোহিঙ্গা মুসলিমবাহী নৌকা অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছেছে। ওই নৌকায় ১৬০ জনের বেশি রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন। তাদের সবাইকে বেশ ক্ষুধার্ত ও দুর্বল অবস্থায় দেখা গেছে। এবং বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর তারা ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পোঁছান। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়, বেঁচে ফেরার অনিশ্চিয়তা থেকে তীরে ফিরতে পেরে ডুকরে কেঁদে ওঠেন মৃতপ্রায় দুর্বল রোহিঙ্গারা।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ৫৭ জন আরোহী নিয়ে আরও একটি কাঠের নৌকা ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়া অবস্থায় ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে নোঙর করেছে। ওই নৌকাও এক মাস ধরে সাগরে ভেসেছে। আরোহীরা বলেছেন, তাঁরা ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, আরও একটি ট্রলারে থাকা ১৮০ জন শরণার্থী সম্ভবত মারা গেছেন। সংস্থার মুখপাত্র বাবর বালুচ বলেছেন, ওই ট্রলারের আরোহীদের স্বজনেরা বলেছেন, ট্রলারটিতে ফাটল ধরেছিল বলে তাঁরা জানতে পেরেছিল। বর্তমানে তাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ হচ্ছে না। এ জন্য ধারণা করা হচ্ছে, সাগরে থাকা ট্রলারটি ডুবে মৃত্যু হয়েছে সবার।
গত দুই মাসে এমন তিনটি নৌকা যাত্রা করেছে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে নৌকার সংখ্যা অন্তত পাঁচটি বা তারও বেশি।
হিংস্র বৌদ্ধদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজ দেশ আরাকান ত্যাগ করতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। এরপর প্রতিবেশি দেশগুলোতে শরণার্থী শিবিরে কোন জীবিকা নির্বাহ ছাড়াই বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। আর এভাবে বেঁচে থাকার কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মৃত্যু ঝুঁকি থাকা সত্বেও নৌকা বা ট্রলারে করে পারি দিচ্ছে দুর্ঘম সাগর পথ। এমন যাত্রায় তাদের অনেকেই লক্ষ্যে পৌঁছার আগেই বরণ কর নিচ্ছেন সলিল সমাধি।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Starvation, hunger and dehydration made them half. Rohingya betting their lives for survival by taking the dangerous journey via sea-
– https://tinyurl.com/jc4bnxym
2. ভিডিও লিংক
– https://tinyurl.com/526waxwv