গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে এক দিনেই (২২ অক্টোবর) ৫টি মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় টানা বোমা বর্ষণে আরও ২৬টি মসজিদ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে গাজায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হওয়া মসজিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৩১টি। গাজার এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মসজিদের পাশাপাশি গাজার একটি প্রাচীন গ্রীক গির্জাতেও হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত কোরআন রেডিও স্টেশনে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে ইহুদিরা।
গাজায় ধ্বংস হওয়া মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ। এটি গাজার তৃতীয় বৃহত্তম এবং ৭ম শতকে নির্মিত একটি মসজিদ। মসজিদগুলো ধ্বংসের সময় অসংখ্য মুসলিম হতাহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরের একটি মসজিদেও হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলি বাহিনী। গত ২২ অক্টোবর পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার নামক একটি মসজিদে হামলাটি চালায় তারা। এতে হতাহত হয়েছে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি।
যুদ্ধে যেসব নিয়ম নীতি রয়েছে ইসরায়েল এর কোন কিছুই পরোয়া করে না। মসজিদ, গির্জা, স্কুল, শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালের মতো জায়গায় টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে হতাহত হচ্ছে শত শত সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। গাজার আল-আহলি আল আরব নামক এক হাসপাতালেই বোমা হামলা চালিয়ে ৫০০ জন ফিলিস্তিনিকে গণহত্যা করে ইসরায়েল।
এছাড়াও গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৬৯১ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ জনই শিশু। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি, যা পশ্চিমাদের ঐক্যমতে বানানো আন্তর্জাতিক আইনেও স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ। কিন্তু ইসরায়েল যেন এসব আইন কানুন ও নিয়ম নীতি সব কিছুর ঊর্ধ্বে।
তথ্যসূত্র:
1. 31 mosques destroyed in Israeli airstrikes on Gaza since Oct. 7
– https://tinyurl.com/yrwrzua2
2. Israel-Hamas war: ‘Heavy bombardments’ in Gaza, hospitals at risk
– https://tinyurl.com/54pma36p