‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নারী হিসেবে আমাদের লজ্জিত করেছে’; চবির নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

0
49

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল নারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নারীদেরই লজ্জিত করেছে। ম্যারিটাল রেইপের আইন পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের এক চক্রান্তের নাম। এ আইন নারী-পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য অশনিসংকেত। সংস্কার কমিশনে শব্দের লুকোচুরিতে ট্রান্সদেরকেও নারী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ষড়যন্ত্র চলছে। তাছাড়া, তারা পতিতাবৃত্তিকে শ্রমের স্বীকৃতির সুপারিশেরও ঘোর বিরোধিতা করছেন।

বুধবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটায় চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, এই নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের নারী হিসেবে লজ্জিত করেছে। ম্যারিটাল রেইপের আইন পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের এক চক্রান্তের নাম। এই আইন নারী-পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য অশনিসংকেত। একদিকে ম্যারিটাল রেইপের আইন করবেন, অন্যদিকে পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি দিবেন – এটা তো সরাসরি পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের রোডম্যাপ। এই সুপারিশমালা বাস্তবায়িত হলে নারীরা বরং আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবে।

দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামসুন্নাহার মিতুল বলেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখা উচিত, যেখানে নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রকৃত ইনসাফ বিদ্যমান থাকবে। কিন্তু, উত্তরাধিকার আইনে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিকতা, যৌনকর্মীদের শ্রমিক স্বীকৃতি প্রদান, ম্যারিটাল রেইপ আইন, ট্রান্সজেন্ডারদের স্বীকৃতির কৌশল অবলম্বন প্রস্তাবনা বাঙালি মুসলিমদের মূল্যবোধ ও চিন্তার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। তাদের এই প্রস্তাবিত মডেল কি আমাদের দেশের ট্র্যাডিশন, কালচার, ফেইথ, সোশ্যাল ভ্যালু, মোরালিটিটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? এক্ষেত্রে তাদের কোনো ডেটা বা রিসার্চ ফাইন্ডিংস আছে কী?

তিনি আরো বলেন, পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি আমাদের সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করে তুলবে। আপনি আপনার মা-বা, মেয়ের পতিতাবৃত্তিতে যুক্ত হওয়া সম্মানজনক মনে না করলে কেন এর স্বীকৃতি চাচ্ছেন? পতিতাদের বড় অংশই অনিচ্ছায় বিক্রি হয়ে এই পেশায় আসে। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ আবার অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাংলাদেশে যৌনকর্মীর চেয়ে মাদকাসক্তের সংখ্যা বেশি। মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হলে যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন কেন সম্ভব নয়?


তথ্যসূত্র:
১. নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নারী হিসেবে আমাদের লজ্জিত করেছে
– https://tinyurl.com/atabnfwk

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবুরকিনা ফাসোর দিয়াপাগা ও সোলি শহর বিজয়: মুজাহিদদের অভিযানে ২২০ শত্রু সেনা নিহত
পরবর্তী নিবন্ধ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীকে টানা ১৬ ঘন্টা নির্যাতন করলো ছাত্রদল নেতা