যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে নিহত হতে পারে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ : হোয়াইট হাউস

0
913


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বে লাশের মিছিল শুধু দীর্ঘই হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত সাড়ে আট লাখের বেশি মানুষ। হোয়াইট হাউজের হুঁশিয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। প্রতিদিন করোনার বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধে নামছেন ইউরোপ আর আমেরিকার চিকিৎসকরা। টানা ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা বিরামহীন পরিশ্রম করছেন তারা। চাওয়া একটাই, জীবন বাঁচানো। চিকিৎসক, নার্সদের এমন হাজারো চেষ্টার পরও কোনভাবেই থামছে না করোনার ভয়াবহতা। প্রতিদিনই মৃত্যুর গ্রাফ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকট বলছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

জানুয়ারির শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়। মাত্র দুই মাসের মাথায় তা বেড়ে প্রায় দুই লাখের ঘরে। প্রাণহানিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, হোয়াইট হাউস হুশিয়ারী দিয়েছে, করোনায় দেশটিতে এক লাখ থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মার্কিনিদের আরো কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রুসেডার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব কঠিন যাবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।’ হোয়াইট হাউস করোনা বিষয়ক ট্রাস্ক ফোর্স সমন্বয়কারী ডা. ডেবোরাহ ব্রিক্স বলেন, ‘ইতালির পরিস্থিতি আর সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা ধারণা করছি প্রাণহানি দুই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চললে প্রাণহানি কিছুটা কমবে। তবে তাতেও লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।’
প্রাণহানির এই তালিকায় দীর্ঘ হচ্ছে বাংলাদেশিদের নামও। নিউইয়র্ক ছাড়াও মিশিগান এবং নিউজার্সিতে কয়েকজন বাংলাদেশি প্রাণ হারান কোভিড-নাইনটিনে। ইউরোপেও করোনা পরিস্থিতি উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও স্পেনে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে। ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল শুধু দীর্ঘই হচ্ছে। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের শ্রদ্ধায় এক মিনিটের নিরবতা পালিত হয় দেশটিতে।

উল্লেখ্য যে, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ আমেরিকা প্রায় এক শতক জুড়ে বিশেষত মুসলিম ও মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে চালিয়ে যাচ্ছে । যাতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই কোটিরও অধিক নিরপরাধ মানুষ । একদিকে মুসলিমদের সাথে সামারিক যুদ্ধে পরাজয়ের পথে এবং অর্থনীতিও মারাত্মক বিপর্যস্ত । এরূপ সময়ে ব্যাপক কোরোনার আক্রমণ দেশটিকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোমালিয়া | মুজাহিদদের হামলায় ১২ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য হতাহত এবং ১টি এলাকা বিজয়!
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় ত্রাণ বিতরণের সময় ৬ ফিলিস্তিনীকে ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী পুলিশ