আমিরাতে গেলো সুদানের প্রতিনিধি দল,ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের আভাস

3
833
আমিরাতে গেলো সুদানের প্রতিনিধি দল,ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের আভাস
সুবিধামত ফন্ট ছোট বড় করুনঃ

 

আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করার জন্য সুদানের শাসক পরিষদের প্রধানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সংযুক্ত আরব আমিরাত পৌঁছেছেন। এ সময় তারা আমেরিকা কর্তৃক ‘সন্ত্রাসে মদদদাতা’র তালিকা থেকে নাম কাটার ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে সুদানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

গতো ২০ সেপ্টেম্বর সুদানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা জানিয়েছেন,দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বে থাকা জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল বুরহান আমিরাতের নেতাদের সাথে সুদান সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করবেন।

এতে আরো বলা হয়, সুদানের বিচারমন্ত্রী নাসের উদ্দিন আব্দুল বারি আবুধাবিতে অবস্থানরত আমেরিকান কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। এ সময় তারা সন্ত্রাসের মদদদাতার তালিকা থেকে সুদানের নাম কাটার ব্যাপারে আলোচনা করবেন। এছাড়া রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল ও সুদানকে আমেরিকার ঋণ প্রদান বাতিল করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

তবে মার্কিন ওয়েবসাইট ‘এক্সিওস’ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আমেরিকা-আমিরাত ও সুদানের কর্মকর্তারা সোমবার আবুধাবিতে ইসরায়েলের সাথে সুদানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের একটি সিদ্ধান্তমূলক বৈঠক করবেন।

নাম প্রকাশ না করা সূত্রে ওয়েবসাইটটি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বদৌলতে সুদান সন্ত্রাসের তালিকা থেকে নিজেদের নাম কাটা ছাড়াও ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সাহায্য এবং সরাসরি বাজেট সহায়তা আদায়ের চেষ্টা করবে।

এছাড়া পরবর্তী তিন বছর অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে আমিরাত ও আমেরিকার কাছ থেকেও একটি প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চাইছে ‍সুদান। রোববারের প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছেন এক্সিওস।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গতো আগস্টে খার্তুম সফরের সময় ইসরায়েলের সাথে সুদানের সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি সামনে আনেন।এ সময় পম্পেও ইসরায়েলের সাতে সম্পর্কের বিনিময়ে সন্ত্রাসের তালিকা থেকে নাম কাটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঐ সময় সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদোক বলেন, এ ব্যাপারে তার সরকারের জনসমর্থন নেই। অন্তর্বর্তীকাল শেষে ২০২২ সালের নির্বাচনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বেশকিছু আরব দেশকে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরালের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে রাজি করতে সফরের অংশ হিসেবে পম্পেও সেখানে যান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে অন্য আরব দেশগুলোও আরব আমিরাত ও বাহরাইলের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। তবে ফিলিস্তিন বলছে, এটা তাদের সাথে আরব দেশগুলোর বিশ্বাসঘাতকতা।

সূত্র : আলজাজিরা

3 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসরায়েলের কারাগারে যৌন নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনের বন্দী নারীরা
পরবর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট | স্কুল-কলেজ পরিদর্শনে তালেবানের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল