
ভারতের আসাম বিধানসভায় রাষ্ট্র পরিচালিত মাদরাসাগুলো বন্ধের বিল পাস করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
এখন বিলটি অনুমোদনের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে। নতুন আইন অনুযায়ী, মাদরাসা খাতে আর কোনো সরকারি অর্থ ব্যয় করা হবে না। ২০২১ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে ৭০০-এর বেশি মাদরাসা বন্ধ করে সেগুলোকে সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমান্তা বিশ্ব শার্মা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
ওই বিলের আওতায় আসাম রাজ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ভেঙে ফেলা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার খুব শিগগিরি বেসরকারি মাদরাসার বিষয়ে নতুন আরেকটি আইন পাস করবে। কওমি মাদরাসাগুলোতে ইসলামিক শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান, গণিত ও অন্যান্য বিষয়গুলো পাঠ্যসূচিতে রাখলে কেবল সেগুলোকে পাঠদানের অনুমোদন দেয়া হবে।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাট ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, আসাম সরকার বলেছে, জনসাধারণের অর্থ আর ধর্মীয় শিক্ষায় ব্যয় করা হবে না। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বৈদিক শিক্ষা ও ইসলামিক শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। যা নির্বাচনের এজেন্ডার মতো দেখাচ্ছে।
তিনি বিধানসভায় আরো বলেন, এখন যারা ওই আইনের বিপক্ষে আদালতে যেতে চায় আমরা তাদের সাহায্য করব। বিরোধী দল ওই আইনটির সমালোচনা করে বলেছে, হিন্দুদের দিয়ে মোদি সরকার সারাদেশে মুসলিম বিরোধী শাসন চালাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছে, আমাদের মসজিদগুলোতে আর ইমামের প্রয়োজন নেই। সংখ্যালঘিষ্ট মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে আমাদের প্রয়োজন পুলিশ অফিসার, ডাক্তার, শিক্ষক ও আমলা। সে আরো বলেছে, আমরা সকল মাদরাসাগুলোকে সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করব। ওই স্কুলগুলোতে আর ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হবে না।
এদিকে বিশ্লেষকগণ বলছেন, আইনটি মুসলিম বিরোধী। মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে আইনটি করা হয়েছে।