সৌদি আরবের দক্ষিন সীমান্ত সংলগ্ন দেশ ইয়ামানের বায়দা রাজ্যে শিয়া হুথী বিদ্রোহীদের সামরিক কাফেলা ও একটি সামরিক পোস্টে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে অনেক সেনাসহ একটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস হয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে, ইয়ামানের বায়দা রাজ্যের জায়ের এলাকায় একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যা ইরান সমর্থিত শিয়া হুথিদের একটি কাফেলাকে টার্গেট করে ঘটনো হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে হুথিদের পুরো দলটি হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়েছে।
এই হামলার চারদিন পর অর্থাৎ ৮ নভেম্বর সোমবার দ্বিপ্রহরের সময়, একই এলাকায় আরও একটি হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এবার কাফেলার উপর নয় বরং শিয়া হুথী বিদ্রোহীদের একটি সামরিক পোস্ট টার্গেট করে হামলাটি চালানো হয়েছে। এতে শিয়া সন্ত্রাসীদের উক্ত সামরিক পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, এসময় পোস্টে থাকা ডজনখানেক সৈন্য হতাহত হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
এদিকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আরব উপদ্বীপ ভিত্তিক ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী “জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্” বরকতময় এই হামলা দুটির সত্যাতা নিশ্চিত করে এর দায় স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, মুসলিম জাতির ইতিহাসের শুরুর সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, হালাকু থেকে ইয়াহিয়া, সাফাভি থেকে ইরান-সিরিয়া – সর্বত্রই উম্মাহর সাথে গাদ্দারি করে শত্রুদের নানা উপায়ে সাহায্য করেছে এরা। সর্বত্রই উম্মাহর রক্ত ঝরিয়েছে ইহুদি থেকে উদ্ভুত এই শিয়ারা।
বর্তমান সময়ে ইরানের শিয়া নেতাদের পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নানান মুখরোচক শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এসব শুনে অনেক অবুঝ মুসলিম শিয়া ইরানকে মিত্র ভাবার মত ভুল করে থাকে। তবে বাস্তবতা হল, শিয়ারা কখনোই মুসলিমদের বন্ধু ছিলনা। আর পশ্চিমাদের সাথেও তারা সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে, তা মুখে যে শ্লোগানই তারা দিক না কেন।
ইরাক-সিরিয়া-লেবানন-ইয়েমেন সহ যে দেশেই পশ্চিমা বাহিনী আগ্রাসন চালিয়েছে, সেখানেই পরবর্তীতে শিয়ারা শক্তিশালী পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।