আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের গোপন গণহত্যার রিপোর্ট প্রকাশ : বিবিসি’র কেন এতো দায়!

    ইউসুফ আল-হাসান

    5
    1960
    আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের গোপন গণহত্যার রিপোর্ট প্রকাশ : বিবিসি’র কেন এতো দায়!

    গত মাসে আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ান আগ্রাসী সেনাবাহিনী কর্তৃক সাধারণ নাগরিক হত্যার ভিডিও প্রকাশ হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার মতো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীও আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। সম্প্রতি বিবিসি একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

    ব্রিটিশ সেনারা আফগান বন্দী ও সাধারণ নাগরিকদের ঠান্ডা মাথায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো। কিন্তু বিষয়টি তারা এতদিন গোপন করে এসেছে। সম্প্রতি উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল।

    আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালীন মার্কিন-ব্রিটিশ বাহিনী প্রায়ই রাত্রিকালীন অভিযান চালাতো। এসব অভিযানে অসংখ্য সাধারণ বেসামরিক মুসলিম নিহত হয়েছেন।

    রিপোর্টে উল্লেখিত কিছু ঘটনা :

    ২০১১ সালে একটি নৈশ অভিযানে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৪ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনী এবং এর ২ দিন পর আরও ৮ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে তারা। এর পরই পরিবারের পক্ষ থেকে সাইফুল্লাহ নামক এক আফগান নাগরিক একটি মামলা দায়ের করেছিল।

    এ ঘটনা ছাড়াও ২০১৪ সালে সন্দেহভাজন আরও ৫২টি হত্যার অভিযোগ তদন্তে ব্রিটিশ সরকার অপারেশন নর্থমুর শুরু করেছিল।

    এছাড়াও রয়্যাল মিলিটারি পুলিশও (আরএমপি) ২০১৪ সালে একটি অনুসন্ধানী কাজ শুরু করে। অনুসন্ধান শেষ হবার আগেই ব্রিটিশ সরকার কোন বিচার ছাড়াই ২০১৯ সালে মামলাটি বন্ধ করে দেয়। দাবি করা হয়, আফগানিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা অপরাধমূলক আচরণের কোনো প্রমাণ পায়নি তারা।

    বিবিসির অনুসন্ধানী রিপোর্টে আরো দেখানো হয়, আদালতের তদন্তে গুরুতর দুর্বলতা ছিল। কারণ ১১টি ঘটনার মধ্যে মাত্র তিনটি ঘটানার তদন্ত করা হয়েছে। সেটিও করা হয়েছে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের কোন জিজ্ঞাসাবাদ না করেই। এছাড়াও বিশেষ বাহিনীর অভিযানের ভিডিও ফুটেজ না দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

    বিবিসি প্যানোরমা এবং ব্রিটিশ পত্রিকা সানডে টাইমসের এক অনুসন্ধান দল ১১জন ব্রিটিশ গোয়েন্দার সঙ্গে কথা বলেছে, যারা জানিয়েছেন ঐ দেশে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হবার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

    অপর একটি ঘটনা এমন যে, অনুসন্ধানী কাজে সাহায্য করার কথা বলে এক ডজনেরও বেশি বন্দীকে একটি বিশেষ স্থানে নেয়ার পর গনহত্যা করেছিল সেনারা। এ ঘটনায় ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনী নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে তারা বলে, বন্দীদের নিয়ে ঐ বিল্ডিংয়ে অনুসন্ধান করতে গেলে তারা নাকি সেখানে লুকানো অস্ত্র নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তা দেখার পরই সবাইকে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে তারা!

    কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এটাও স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধে সক্ষম যে কোন আফগান যুবক- হোক সে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথী অথবা সাধারণ নাগরিক, তাদের টার্গেটকৃত একটি স্থানে নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের হত্যা হতো।

    কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অযুহাতে কী তাহলে মুসলিমদের হত্যাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। একটি দেশ ও এটির অধিবাসীদের গণহারে হত্যা করে কোন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারা?

    অনুসন্ধানী রিপোর্টে গণহারে হত্যার বিষয়টি প্রমাণ হবার পরও আদৌ কী বিচার হবে কারো? মুসলিমরা কি তাদের নিজেদের হত্যাকারী ঐ ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান আদালত বা রাষ্ট্রবেবস্থা অথবা জাতিসঙ্ঘের কাছে ন্যায়বিচার আশা করতে পারে.?.! নাকি মুসলিমদের নিজেদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিজেদেরকেই আদায় বা প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ.?

    বিবিসি’র কেন এতো দায়!

    পাঠকের নিশ্চয়ই ২০১৮ সালের ৯ই আগস্ট বিবিসির প্রচারিত একটি নিউজের শিরোনাম পরিবর্তনের কথা মনে আছে। প্রথমে তারা নিউজের শিরোনাম দেয়, ‘ইসরায়েলী বিমানহামলায় নারী ও শিশু নিহত’। নিউজটির মূল বিষয় ছিল, গাজায় ইসরায়েলী বিমান হামলায় এক গর্ভবতী নারী এবং শিশুসহ তিন জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

    নিউজটি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে পড়লে সে বিবিসিকে অতিদ্রুত তা সরিয়ে ফেলার আদেশ দেয়। এ আদেশের কিছু সময় পরই বিবিসি এই শিরোনাম ও নিউজ সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দেয়। নতুনভাবে শিরোনাম করে যে, ‘গাজার বিমানহামলায় ইসরায়েলে নারী ও শিশু নিহত’। বিবিসির এই ধোঁকাবাজি নিয়ে এরপর অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল তখন।

    এখন প্রশ্ন হল, আফগানিস্তানে তার নিজের দেশের সেনাদের হত্যাকাণ্ড প্রকাশে তারা কেন এতো গবেষণা আর কসরত করলো?
    গোটা বিশ্বের মিডিয়া একচেটিয়াভাবে পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রণে, পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া সিমানার বাইরে খবর প্রকাশের এখতিয়ার বা ইচ্ছা এই দালাল মিডিয়া আউটলেটগুলোর নেই। দালাল মিডিয়াও মাঝে মাঝে পশ্চিমাদের কিছু গোপন কুকর্ম প্রকাশ করে দেয়, তাদের সমালোচনা করে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন?

    আসলে এই মাঝে মাঝে সত্য প্রকাশ কিংবা আংশিক অথবা সত্যের সামান্যতম অংশ প্রকাশ তাদের বড় অপরাধ ঢাকার অপকৌশল ছাড়া কিছুই নয়। মুসলিমদের ধোঁকা দেওয়াটাও কখনো তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।

    দেখুন, বিবিসি ২০ বছরে লাখ লাখ বেসামরিক আফগান মুসলিম হত্যার সামান্য অংশই প্রকাশ করেছে মাত্র, হিমশৈলীর পানির উপরে ভেসে থাকা অংশের কিছুটা এসেছে তাদের রিপোর্টে। আর পানির নীচের অন্ধকারে যাতে মানুষ অনুসন্ধান না করে, সেজন্ন তারা উপরের অংশের সামান্য জায়গাতেই তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রাখতে চায়।

    এই ২-১ টি ঘটনা নিয়ে তারা হৈচৈ করবে, সাধারণ মানুষ সেনাদের নিন্দা আর বিবিসি-কে বাহবা দিবে। মানুষ ভাববে, ব্রিটিশরা যত অন্যায় আচরণই মুসলিমদের সাথে করুক না কেন, তাদের স্বাধীন মিডিয়া এই অন্যায় মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিবে!

    দালাল এই মিডিয়াগুলো কখনোই মুসলিমদের বন্ধু নয়, তারা আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। তবে তাদের অভিভাবক ‘আযাযিল’এর মতই এরা আমাদেরকে ‘নেক সুরতে’ ধোঁকা দেয় মাঝে মাঝে। মুসলিমদেরকে অবশ্য তাদের এই ধোঁকা বুঝতে হবে। না হয় মুসলিমরা এই পশ্চিমা জায়নবাদীদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধে পেরে উঠবে না।

    তথ্যসূত্র:
    ======
    ১। Special forces hid evidence of Afghan killings –
    https://tinyurl.com/yde3ec4d

    ২। BBC bows to pressure from Israel and changes Gaza headline, August 10, 2018, Middle East Monitor –
    https://cutt.ly/wjXG1Hp

    5 মন্তব্যসমূহ

    1. আসসালামুআলাইকুম
      ভাই দের প্রতি সতর্কবানি &দোয়া 🟥🔴🔴🔴🔴🔴💪💪

      ৪- আল কায়েদা অনলাইনে সদস্য গ্রহণ করে না!
      আল কায়েদা ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম বা অন্য কোন সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সদস্য গ্রহণ করে না। টাকা তুলে না। কেউ যদি আপনাকে ম্যাসেজ করে এমন কোন কথা বলে তাহলে নিশ্চিত জানবেন সেই ব্যক্তি ভেজাল।
      আবার অনেক ভাইকে দেখা যায় অনলাইনে কেউ জিহাদ নিয়ে দু’ কলম লিখলেই ‘জিহাদি সংগঠনে’ যোগ দেওয়ার ইচ্ছায় তাকে ম্যাসেজ করে বসেন। পরবর্তীতে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তি তাকে কারাগারে পৌছিয়ে দিয়েছে। একবার এক ভাই আমাদের ফোরামে মশওয়ারা চেয়েছেন, অমুক লোক অনলাইনে ভালো লেখেন, তার মাধ্যমে আমি তানযিমে যোগ দিতে চাচ্ছি, অথবা তার সাথে অফলাইনে যোগ দিতে চাচ্ছি, আমরা সেই ভাইকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের বাতলে দেওয়া উসুল অমান্য করেছেন। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়েছেন, যা মিডিয়াতেও এসেছিল।
      এমনিভাবে অনেক লোককে অনলাইনের মাধ্যমে সংগঠন করা বা লোকদেরকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
      এই ধরণের লোকদের থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা আবশ্যক। কেননা, এই সকল ক্ষেত্রের প্রায় ক্ষেত্রে তাগুতের ফাঁদ বলেই প্রমাণিত হয় এবং সাধারণ ভাইয়েরা গ্রেফতার হন। সুতরাং অনলাইনে কোন তানযিমে যোগ দেওয়া বা কোন তানযিম গড়ে তোলা থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকুন! কেউ এই ধরণের অফার দিলে অতিঅবশ্যই তাকে সন্দেহ করুন ও এড়িয়ে চলুন!

    2. সাম্প্রতিক জিহাদ সমর্থক ভাই-বোনদের গ্রেফতারি ও তৎসংশ্লিষ্ট কিছু কথা

      আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.

      মুহতারাম ভাই ও বোনেরা!

      গত কিছু দিন পূর্বে বাংলাদেশে আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের নামও আমরা অতিসচেতনভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছি, কেননা এই ফোরামে সেই ভাই-বোনদের নাম উল্লেখ করাটাও হয়তো তাদের জন্য ঝুঁকি সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ উনাদের সম্মানজনক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। দ্বীনের পথে অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। এর সাথে জড়িত তাগুত বাহিনীর প্রতিটি সদস্য থেকে বদলা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
      এই ভাইয়েরা যে নিতান্তই সাধারণ ইসলামপসন্দ ও জিহাদপ্রেমী যুবক-যুবতী, তা তো জিহাদি আন্দোলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা ব্যক্তি মাত্রই অবগত। শুধু এই ভাইয়েরা-ই নন, ইতিপূর্বেও অসংখ্য জিহাদপ্রেমী ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের কেউ হয়তো কোন ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন, অথবা লাইক দিয়েছেন অথবা অন্য কিছু করেছেন, যা একজন মুমিনমাত্রই ইমানের তাকাজায় করতেন।
      কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে আজ সমগ্র কুফরি বিশ্ব ও তাদের দোসরেরা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও জিহাদপ্রেমীদের গ্রেফতারের নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে। ইতিপূর্বে আমরা এই সকল বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের কতক অবুঝ ভাই বারবার আমাদের সেই সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করেছেন। আর তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন। তো এই পরিস্থিতিতে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করতে চাই-

      ১- ভাই-বোনেরা কেন গ্রেফতার হলেন?
      এই কথার সহজ উত্তর হল তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই ফাঁদগুলোর মাঝে রয়েছে- মুজাহিদিন বা কারাবন্দীদের নামে সাদাকা কালেকশন করা বা সাদাকাতে অংশ নেওয়া, তাগুত কর্তৃক তাদের মোবাইল বা পিসিতে অথবা তাদের সামাজিক মাধমের ইনবক্সে ভাইরাসযুক্ত ফাইল প্রেরণ, অর্থাৎ যেকোনভাবে তাদের আইপি অথবা নাম্বার লিক করার মাধ্যমে তাগুত বাহিনী তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।

      ২- মুজাহিদদের নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলনকারীদের থেকে দূরে থাকুন!
      অনেকে আল কায়েদা অথবা অন্য কোন জিহাদি দল বা ব্যক্তির নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলন করে থাকে। এটি যেই করুক, বহু বছরের পুরনো কোন জিহাদি সেলিব্রেটি আইডিও যদি করে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে সন্দেহ করুন! ৯৯% সম্ভাবনা আছে সে তাগুতের সদস্য, অথবা সে কোন আবেগি জিহাদ সমর্থক, সে কেমন যেন নিজেকে ধ্বংসের পাশাপাশি আরও বহু সাধারণ লোকদেরকে বিনামূল্যে তাগুতের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আপনারা হয়তো ‘দারুল জান্নাত’ নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের কথা জেনেছেন, যেখানে যুক্ত অন্তত ৪০+ জিহাদপ্রেমী যুবক ভাইকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আপনি সংখ্যাটা চিন্তা করুন! ৪০ জন লোক তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে! আমার মাঝে মাঝে আফসোস লাগে, আমাদের যুবক ভাইয়েরা এতো আবেগি ও অস্থির কেন? কেন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে তাগুতের হাতে তুলে দেন? কেন তারা আল কায়েদার উমারা ও তাদের সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করে? ইয়া আসাফা!!

      ৩- অনলাইন জিহাদি আইটি বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন!
      সম্প্রতি অনলাইনে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেশ কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে, যারা নিজেদের নামের সাথে উস্তাদ যুক্ত করে নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা নিজেদেরকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবেও জাহির করছেন।
      এখানে প্রসঙ্গক্রমে একজন্য ব্যক্তির ব্যাপারে বলতে চাই, তিনি ‘আবু ইয়াহিয়া’ নামে পরিচিত। আমরা তার বেশ কিছু পোস্ট ও লেখনী পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। এই ব্যক্তি যেসব নিরাপত্তানিত টিপস শেয়ার করছে; সেগুলো মূলত বিভিন্ন জিহাদি সোর্স থেকে নেওয়া, পাশাপাশি তিনি নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত কিছু যোগ করে আইটি বিষয়ে নানা সমাধান দিচ্ছেন। আর দাবি করছেন এগুলো উনিই লিখেছেন। এখানে আরও শঙ্কার বিষয় হল, এই ধরণের ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আল কায়েদা সমর্থক অথবা সদস্য বলে দাবি করছেন। আমরা এই ব্যক্তিকে ভালো-মন্দ কিছু বলতে চাই না, তবে তিনি নিজেকে যেভাবে পেশ করছেন, সেটি নিঃসন্দেহে সন্দেহের উদ্রেক করে-
      এ সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দু’টি মূলনীতি আমি সম্মানিত ভাইদের কাছে পেশ করতে চাই-
      ক- জিহাদি কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট আইটি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার উত্তর অনলাইনে যার তার কাছ থেকে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমরা আপনাকে উৎসাহ দিবো আপনারা অবশ্যই আল কায়েদার অফিসিয়াল ফোরাম ও ওয়েবসাইটগুলোতে জিজ্ঞাসা করুন। এছাড়া যে কোন ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকুন! যদি অফিসিয়াল ফোরাম বা সাইটে উত্তর দেওয়া হয়, তাহলে ভালো আলহামদু লিল্লাহ, অন্যথায় সবর করুন!
      খ- কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইটি সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেও, তা নিয়ে আমভাবে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি নেই। তবে আপনারা অবশ্যই ‘আল কায়েদার সমর্থক বা অনুসারী অথবা এই সমাধান আল কায়েদার মুজাহিদদের দেওয়া’, এমনটি বলা থেকে বিরত থাকুন! কেননা আপনার এই লেখা ও তার ফলাফলের জিম্মাদারি কেবলই আপনার!

    3. ৬- জিহাদি কাজে টর ব্রাউজার অথবা ভালো মানের ভিপিএন ইউজ করুন!

      সম্মানিত ভাইয়েরা! এই ছিল বিক্ষিপ্ত কিছু কথা। ওয়াল্লাহি এতে কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নেই ও ছিল না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাই। নিজে নিরাপত্তা গ্রহণ করুন! নিরাপত্তার সাথে মুজাহিদদের আকিদা-মানহাজ প্রচার করুন! তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন! সর্বোপরি সকাল-সন্ধ্যার আযকার আদায়ে সচেষ্ট হোন। নিজের জন্য ও আপনাদের সকল মুজাহিদ ভাইদের জন্য দুয়া করুন।

    4. সাম্প্রতিক জিহাদ সমর্থক ভাই-বোনদের গ্রেফতারি ও তৎসংশ্লিষ্ট কিছু কথা

      আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.

      মুহতারাম ভাই ও বোনেরা!

      গত কিছু দিন পূর্বে বাংলাদেশে আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের নামও আমরা অতিসচেতনভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছি, কেননা এই ফোরামে সেই ভাই-বোনদের নাম উল্লেখ করাটাও হয়তো তাদের জন্য ঝুঁকি সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ উনাদের সম্মানজনক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। দ্বীনের পথে অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। এর সাথে জড়িত তাগুত বাহিনীর প্রতিটি সদস্য থেকে বদলা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
      এই ভাইয়েরা যে নিতান্তই সাধারণ ইসলামপসন্দ ও জিহাদপ্রেমী যুবক-যুবতী, তা তো জিহাদি আন্দোলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা ব্যক্তি মাত্রই অবগত। শুধু এই ভাইয়েরা-ই নন, ইতিপূর্বেও অসংখ্য জিহাদপ্রেমী ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের কেউ হয়তো কোন ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন, অথবা লাইক দিয়েছেন অথবা অন্য কিছু করেছেন, যা একজন মুমিনমাত্রই ইমানের তাকাজায় করতেন।
      কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে আজ সমগ্র কুফরি বিশ্ব ও তাদের দোসরেরা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও জিহাদপ্রেমীদের গ্রেফতারের নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে। ইতিপূর্বে আমরা এই সকল বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের কতক অবুঝ ভাই বারবার আমাদের সেই সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করেছেন। আর তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন। তো এই পরিস্থিতিতে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করতে চাই-

      ১- ভাই-বোনেরা কেন গ্রেফতার হলেন?
      এই কথার সহজ উত্তর হল তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই ফাঁদগুলোর মাঝে রয়েছে- মুজাহিদিন বা কারাবন্দীদের নামে সাদাকা কালেকশন করা বা সাদাকাতে অংশ নেওয়া, তাগুত কর্তৃক তাদের মোবাইল বা পিসিতে অথবা তাদের সামাজিক মাধমের ইনবক্সে ভাইরাসযুক্ত ফাইল প্রেরণ, অর্থাৎ যেকোনভাবে তাদের আইপি অথবা নাম্বার লিক করার মাধ্যমে তাগুত বাহিনী তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।

      ২- মুজাহিদদের নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলনকারীদের থেকে দূরে থাকুন!
      অনেকে আল কায়েদা অথবা অন্য কোন জিহাদি দল বা ব্যক্তির নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলন করে থাকে। এটি যেই করুক, বহু বছরের পুরনো কোন জিহাদি সেলিব্রেটি আইডিও যদি করে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে সন্দেহ করুন! ৯৯% সম্ভাবনা আছে সে তাগুতের সদস্য, অথবা সে কোন আবেগি জিহাদ সমর্থক, সে কেমন যেন নিজেকে ধ্বংসের পাশাপাশি আরও বহু সাধারণ লোকদেরকে বিনামূল্যে তাগুতের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আপনারা হয়তো ‘দারুল জান্নাত’ নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের কথা জেনেছেন, যেখানে যুক্ত অন্তত ৪০+ জিহাদপ্রেমী যুবক ভাইকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আপনি সংখ্যাটা চিন্তা করুন! ৪০ জন লোক তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে! আমার মাঝে মাঝে আফসোস লাগে, আমাদের যুবক ভাইয়েরা এতো আবেগি ও অস্থির কেন? কেন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে তাগুতের হাতে তুলে দেন? কেন তারা আল কায়েদার উমারা ও তাদের সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করে? ইয়া আসাফা!!

      ৩- অনলাইন জিহাদি আইটি বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন!
      সম্প্রতি অনলাইনে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেশ কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে, যারা নিজেদের নামের সাথে উস্তাদ যুক্ত করে নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা নিজেদেরকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবেও জাহির করছেন।
      এখানে প্রসঙ্গক্রমে একজন্য ব্যক্তির ব্যাপারে বলতে চাই, তিনি ‘আবু ইয়াহিয়া’ নামে পরিচিত। আমরা তার বেশ কিছু পোস্ট ও লেখনী পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। এই ব্যক্তি যেসব নিরাপত্তানিত টিপস শেয়ার করছে; সেগুলো মূলত বিভিন্ন জিহাদি সোর্স থেকে নেওয়া, পাশাপাশি তিনি নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত কিছু যোগ করে আইটি বিষয়ে নানা সমাধান দিচ্ছেন। আর দাবি করছেন এগুলো উনিই লিখেছেন। এখানে আরও শঙ্কার বিষয় হল, এই ধরণের ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আল কায়েদা সমর্থক অথবা সদস্য বলে দাবি করছেন। আমরা এই ব্যক্তিকে ভালো-মন্দ কিছু বলতে চাই না, তবে তিনি নিজেকে যেভাবে পেশ করছেন, সেটি নিঃসন্দেহে সন্দেহের উদ্রেক করে-
      এ সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দু’টি মূলনীতি আমি সম্মানিত ভাইদের কাছে পেশ করতে চাই-
      ক- জিহাদি কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট আইটি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার উত্তর অনলাইনে যার তার কাছ থেকে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমরা আপনাকে উৎসাহ দিবো আপনারা অবশ্যই আল কায়েদার অফিসিয়াল ফোরাম ও ওয়েবসাইটগুলোতে জিজ্ঞাসা করুন। এছাড়া যে কোন ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকুন! যদি অফিসিয়াল ফোরাম বা সাইটে উত্তর দেওয়া হয়, তাহলে ভালো আলহামদু লিল্লাহ, অন্যথায় সবর করুন!
      খ- কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইটি সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেও, তা নিয়ে আমভাবে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি নেই। তবে আপনারা অবশ্যই ‘আল কায়েদার সমর্থক বা অনুসারী অথবা এই সমাধান আল কায়েদার মুজাহিদদের দেওয়া’, এমনটি বলা থেকে বিরত থাকুন! কেননা আপনার এই লেখা ও তার ফলাফলের জিম্মাদারি কেবলই আপনার!

      ৪- আল কায়েদা অনলাইনে সদস্য গ্রহণ করে না!
      আল কায়েদা ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম বা অন্য কোন সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সদস্য গ্রহণ করে না। টাকা তুলে না। কেউ যদি আপনাকে ম্যাসেজ করে এমন কোন কথা বলে তাহলে নিশ্চিত জানবেন সেই ব্যক্তি ভেজাল।
      আবার অনেক ভাইকে দেখা যায় অনলাইনে কেউ জিহাদ নিয়ে দু’ কলম লিখলেই ‘জিহাদি সংগঠনে’ যোগ দেওয়ার ইচ্ছায় তাকে ম্যাসেজ করে বসেন। পরবর্তীতে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তি তাকে কারাগারে পৌছিয়ে দিয়েছে। একবার এক ভাই আমাদের ফোরামে মশওয়ারা চেয়েছেন, অমুক লোক অনলাইনে ভালো লেখেন, তার মাধ্যমে আমি তানযিমে যোগ দিতে চাচ্ছি, অথবা তার সাথে অফলাইনে যোগ দিতে চাচ্ছি, আমরা সেই ভাইকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের বাতলে দেওয়া উসুল অমান্য করেছেন। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়েছেন, যা মিডিয়াতেও এসেছিল।
      এমনিভাবে অনেক লোককে অনলাইনের মাধ্যমে সংগঠন করা বা লোকদেরকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
      এই ধরণের লোকদের থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা আবশ্যক। কেননা, এই সকল ক্ষেত্রের প্রায় ক্ষেত্রে তাগুতের ফাঁদ বলেই প্রমাণিত হয় এবং সাধারণ ভাইয়েরা গ্রেফতার হন। সুতরাং অনলাইনে কোন তানযিমে যোগ দেওয়া বা কোন তানযিম গড়ে তোলা থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকুন! কেউ এই ধরণের অফার দিলে অতিঅবশ্যই তাকে সন্দেহ করুন ও এড়িয়ে চলুন!

      ৫- অনলাইনে জিহাদি মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার উপায়?
      জিহাদি মিডিয়ার ভাইয়েরা অনলাইনে জিহাদি মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার উপায় রেখেছেন। এই ব্যাপারে ভাইয়েরা কিছু নীতিমালাও রেখেছেন, সে ব্যাপারে সবার অবগত হওয়া উচিত-
      কীভাবে অনলাইনে জিহাদি সংগঠনে যুক্ত হবেন?
      https://justpaste.it/contactalfirdaws
      https://web.archive.org/web/20211116140730/https://justpaste.it/contactalfirdaws
      তবে অংশগ্রহণকারী ভাইদের উচিত হল, যাদেরকে কাজ করে দিবেন, তাদের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হবেন যে তারা আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট ভাই কিনা? কেননা অন্যদের ব্যাপারে আমরা কোনভাবেই দায় নিবো না। পাশাপাশি ফাইল আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। অনলাইনে পড়া যায় বা দেখা যায় এমন ফাইল-ই আদান-প্রদান করা কাম্য। কেননা ফাইল আদান-প্রদানের সময় আপনার পিসিতে ভাইরাস ঢুকে আপনার আইপি ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

      ৬- জিহাদি কাজে টর ব্রাউজার অথবা ভালো মানের ভিপিএন ইউজ করুন!

      সম্মানিত ভাইয়েরা! এই ছিল বিক্ষিপ্ত কিছু কথা। ওয়াল্লাহি এতে কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নেই ও ছিল না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাই। নিজে নিরাপত্তা গ্রহণ করুন! নিরাপত্তার সাথে মুজাহিদদের আকিদা-মানহাজ প্রচার করুন! তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন! সর্বোপরি সকাল-সন্ধ্যার আযকার আদায়ে সচেষ্ট হোন। নিজের জন্য ও আপনাদের সকল মুজাহিদ ভাইদের জন্য দুয়া করুন।

      ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.

    মন্তব্য করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধসত্য প্রকাশের শাস্তি || মুসলিম নির্যাতনের খবর প্রচার করাই কি অপরাধ সাংবাদিক ও এক্টিভিস্টদের!
    পরবর্তী নিবন্ধইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া বা করাকে ‘অপরাধ’ গণ্য করছে গুজরাট পুলিশ!