প্রথমে বাবরি, পরে জ্ঞানবাপী, আগ্রা জামে মসজিদ। এভাবেই ভারতে একটার পর একটা ঐতিহাসিক মসজিদ টার্গেট করা হচ্ছে।আর যেগুলোতে কথিত আইনের মারপ্যাঁচে মন্দির বানানো যাবে না সেগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত(১৭/০৫/২২) মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদী উগ্র জনতা নেমুচ শহরের একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে।
জনতা শহরের কোর্ট মহল্লা এলাকায় মুসলিমদের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় হিন্দুত্ববাদীদের জোরপূর্বক একটি দরগার দেয়ালে মূর্তি স্থাপন করা নিয়ে। মুসলিমরা প্রতিবাদ করায় হিন্দুত্ববাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলি দেখা গেছে,যে স্থানীয় মুসলিমরা কয়েকজন হামলাকারী হিন্দু সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা মুসলিমদের উপর হামলা প্রতিহত করার কোন চেষ্টা করে নি। হামলাকারীদের উপযুক্ত বিচারও করে নি।
তবে তারা স্বীকার করেছে যে হিন্দুত্ববাদী হামলাকারীরা মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেছে, মুসলমানদের বাড়িতে পাথর ছুঁড়েছে। এ ঘটনায় রংরেজ মহল্লার বাসিন্দা ইউনুস নামে ২৩ বছর বয়সী এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও অনেক মুসলিমরা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
ভারতে রামমন্দিরের দাবিতে আন্দোলনের সময় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর খুব জনপ্রিয় স্লোগান ছিল, ‘ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’!
তাদের প্রকাশ্য হুঙ্কার ছিল, অযোধ্যায় মসজিদ ভেঙে রামমন্দির গড়ার পর তারা কাশী-মথুরাসহ অন্যান্য মসজিদে অভিযানে চালাবে। তারই বাস্তব নমুনা দেখা যাচ্ছে সমগ্র ভারতে।
তথ্যসূত্র:
—–
1.Madhya Pradesh: Mosque set ablaze in Nemuch city
https://tinyurl.com/4kfmw2hc