পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পর প্রতিবেশি দেশগুলোতেও শক্তিপদর্শণ করতে শুরু করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
সেই সূত্র ধরেই বিগত মাসগুলোতে বেনিনে একাধিক সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। যার সবগুলোই চালানো হয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর উপর। এরমধ্যে রয়েছে গত ৮ মে দেশটির ‘পোরগা’ এলাকায় সামরিক বাহিনীর একটি আউটপোস্ট লক্ষ্যবস্তু করে পরিচালিত হামলা। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’এর এক ডজন যোদ্ধা মোটরসাইকেলে চড়ে সেনা পোস্টটিতে অতর্কিত হামলা চালান। এতে বেশ কিছু গাদ্দার সেনা সদস্য হতাহত হয়, আর অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে সরে পড়েন।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ঐদিন বুর্কিনা ফাসো এবং টোগো সীমান্তের কাছাকাছি বেনিন সীমান্তে আরও একটি সফল হামলা চালান মুজাহিদগণ। যেখানে সীমান্তরক্ষীদের টার্গেট করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ।
এই হামলাগুলোর এক সপ্তাহ আগে ২৬ এপ্রিল, নাইজারের সাথে বেনিন সীমান্তের কাছে একটি পুলিশ স্টেশনেও হামলা চালান মুজাহিদগন। যাতে এক বেনিনিজ পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এর দু’দিন আগে একই এলাকায় সেনাদের একটি সামরিক কাফেলায় বোমা হামলা চালানো হয়। এতে কতক সৈন্য আহত হয়। স্থানীয় সূত্র মতে, হামলাগুলো নাইজেরিয়া সীমান্ত হয়ে চালানো হয়েছে। যেখানে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত আনসারুল মুসলিমিনের যোদ্ধারা বর্তমানে সক্রিয় হয়ে উঠছেন।
এমনিভাবে গত ১১ এপ্রিল, উত্তর-পশ্চিম বেনিনের উত্তর পেন্ডজারি ন্যাশনাল পার্কে সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। যার ফলশ্রুতিতে ৫ বেনিনিজ সৈন্য, ৬ পুলিশ সদস্য এবং একজন ফরাসি উপদেষ্টা নিহত হয়।