পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘টিটিপি’ সম্প্রতি দেশের ডেরা ইসমাইল খান, লাক্কি মারওয়াত এবং পেশোয়ারে আত্মরক্ষামূলক হামলা চালিয়েছে। এতে সামরিক বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত এবং আরও ৩ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) গত ০২/০৯/২২ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এধরণের হামলার দায় স্বীকার করেছে। ওমর খালেদ খোরাসানির (রহ.) শাহাদাতের পর ইসলামাবাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সবচাইতে বেশি হামলা চালিয়েছে টিটিপি। প্রতিরোধ বাহিনীর পক্ষ থেকে তখন হামলার সত্যতা নিশ্চিত করা হলেও তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয় নি।
সম্প্রতি তাঁরা হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। এই পক্রিয়ায় পাকিস্তানি তালিবান (টিটিপি) ঘোষণা করেছে যে, তাঁরা ইসলামাবাদের গাদ্দার সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে গত ২ সেপ্টেম্বরের পর ৩টি হামলা চালিয়েছেন। যেগুলো গাদ্দার সরকারী বাহিনীর উপর “প্রতিরক্ষামূলক” হামলা ছিলো বলে জানিয়েছে টিটিপি।
প্রথম হামলাটি চালানো হয় ডেরা ইসমাইল খান এলাকায়। যেখানে টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ১ পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এরপর পেশোয়ারের রিগি টানা অঞ্চলে দ্বিতীয় হামলাটি চালান মুজাহিদগণ। যেখানে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনী টিটিপি যোদ্ধাদের পথ অবরোধ করার চেষ্টা করে। পরে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়, আর তাতেই ১ পুলিশ সদস্য নিহত এবং অন্য ৩ গাদ্দার সদস্য আহত হয়।
এদিকে বান্নু জেলার লেক্কি মারওয়াত অঞ্চলে সর্বশেষ আক্রমণের ঘটনাটি ঘটে। যেখানে টিটিপি’র মুজাহিদদের লক্ষ্য করে ইসলামাবাদের গাদ্দার প্রশাসনিক ইউনিট আক্রমণ করে। তখন টিটিপির যোদ্ধারাও পাল্টা হামলা চালান। আর তাতেই ২ পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং আরও কতক সদস্য আহত হয়। যাদের মধ্যে একজন সিনিয়র অফিসারও রয়েছে বলে জানা যায়।
এটি লক্ষণীয় যে, গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসন এবং প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি’র মধ্যে গত মে মাসের শুরু থেকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছে। সময়ে সময়ে পাকিস্তানের হটকারিতার ফলে এই আলোচনা আটকে গেলেও, যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়াটি মনে চলে টিটিপি।