চলতি বছর হজের খরচের জন্য হাজিদের থেকে যে পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছিল, তা থেকে বেঁচে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান। দেশটির হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর, এক সংবাদ সম্মেলনে হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নূর মোহাম্মদ সাকিব জানান, এ বছর সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি হজ যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৫৩ মিলিয়ন ডলার নেয়া হয়েছিল। সে অর্থ থেকে খরচ হয়েছে ৪৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি সাত মিলিয়ন ডলার বেঁচে গেছে। এ অর্থ হজ যাত্রীদের ফেরত দেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রাদেশিক বিভাগ থেকে হাজিগণ এ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফজল মোহাম্মদ হুসাইন জানান, এবার হজ পরিচালনায় ৩০০ প্রশিক্ষক (মুআল্লিম) পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা হজে গিয়েছিলেন, তারা নিজস্ব খরচেই হজ করেছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, তালিবানের এবারের শাসনামলে এটিই প্রথম হজ যাত্রা। এবার হজে গেছেন মোট ১৩ হাজার ৫৮২ জন আফগান নাগরিক। হজে যাওয়ার সময় প্রত্যেকে খরচ হিসেবে ৪ হাজার ১৩০ ডলার করে দিয়েছেন। খরচ বেঁচে যাওয়ায় এবার তারা ৫১৫ ডলার করে ফেরত পাবেন।
এক হজ যাত্রী জানান, সার্বিকভাবে এ বছর হজ যাত্রা পরিষেবা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এমনকি গাইডও হজ যাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো বাছাই করে নিতে পেরেছেন। এই সুন্দর ব্যবস্থাপনার কারণে তালিবান প্রশাসন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
এই খবরে সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী নামের এক আফগান নাগরিক মন্তব্য করেছেন, সুদিন আসছে এবং এভাবেই আসবে। আমরা আবারো সততা, বিশ্বস্ততা, গৌরব ও আভিজাত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, ইনশাআল্লাহ।
এদিকে লুটেরা আমেরিকা এখনও আফগানিস্তানের বিপুল রিজার্ভ আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও তালিবান প্রশাসনের কৌশলি ইসলামি শরয়ী ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে শুরু করেছেন আফগান জনগণ।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ শুরু করেছেন তালিবান মুজাহিদিন। জনগণের জান ও মালের শতভাগ নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। ঘুষ, দুর্নীতি ও জনগণের মাল আত্মসাতের মত জুলুমকে শরয়ী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল সেক্টর থেকে বিদায় জানিয়েছেন তারা।
তথ্যসূত্র:
——–
১. খরচ না হওয়া অবশিষ্ট অর্থ ফেরত পাবে আফগান হাজিরা
– https://tinyurl.com/mr49sv3t