এবার সোমালিয়ার জালাজদুদ রাজ্যের ২টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় ৭০ এর বেশি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমালিয়ার জালাজদুদ রাজ্যে বড় ধরণের সামরিক অভিযান চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। অভিযানটি সোমালিয়ার গাদ্দার সামরিক বাহিনী, জালমাদুক প্রশাসন ও আশামুদ মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে। এতে গাদ্দার বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের যোদ্ধারা এদিন ভোরে রাজ্যটির আজাজো ও আজকুবার শহর অবরোধ করেন। পরে শত শত শাবাব যোদ্ধা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহর দু’টিকে ঘিরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। এরপর আশ-শাবাব যোদ্ধারা গাদ্দার সোমালি সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে স্থলপথে তীব্র আক্রমণ চালাতে শুরু করেন। আশ-শাবাব যোদ্ধাদের বিশাল এই সামরিক প্রস্তুতি দেখেই হতভম্ব হয়ে পড়ে অনেক সোমালি সৈন্য। যুদ্ধের শুরুর পর্যায়েই কয়েক শত গাদ্দার সেনা শহরটি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর অবশিষ্ট গাদ্দার সৈন্যদের সাথে প্রচন্ড লড়াই শুরু হয় মুজাহিদদের। সংঘর্ষ দীর্ঘ ৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলমান ছিলো।
শাহাদাহ এজেন্সির প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয় যে, মুজাহিদদের বরকতময় এই হামলায় অন্তত ৫০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন গাদ্দার সেনা।
এই রিপোর্টের কয়েক ঘন্টা পর, নির্ভরযোগ্য স্থানীয় সূত্রগুলি নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের বরকতময় এই অভিযানে গাদ্দার সোমালি সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ ৯ সামরিক কর্মকর্তা সহ কমপক্ষে ৭০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে । আহত হয়েছে আরও ৪০ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য।
এই বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য হতাহত হওয়ার পর গাদ্দার বাহিনী যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফলে সেনারা তাদের মৃতদের লাশ ময়দানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেই পালাতে শুরু করে। এসময় মুজাহিদগণ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র-শস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন।
যাইহোক, শত্রুসেনাদের এই লজ্জাজনক পরাজয় ও পলায়নের পর হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন উপরোক্ত শহর ২টির নিয়ন্ত্রণ নেন। সেই সাথে আরও ২টি শহর সোমালি ইসলামি ইমারাতে যুক্ত হয়, আলহামদুলিল্লাহ্।
সোমালিয়ায় অন্ধকার পেরিয়ে ভোর হতে শুরু করেছে।