সম্প্রতি রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস’। এই উপলক্ষে আয়োজিত সভায় দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক ডেপুটি শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানাকজাই (হাফি.)। যেখানে তিনি ভূরাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক ডেপুটি জাতীয় ঐক্য নিশ্চিতকরণ ও দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ৪০ বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের সমস্যা অল্প সময়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সময়ের এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার। যার জন্য ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় তিনি আফগানিস্তানের আকাশসীমায় মনুষ্যবিহীন (ড্রোন) বিমানের টহল দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, গত ২০ বছর ধরে কারা এই দেশে দখলদারত্ব টিকিয়ে রাখতে কারা কাজ করছে, কারা তাদের দেশের স্থল ও আকাশ সীমা দখলদার ব্যবহার করতে দিয়েছে এগুলো আমাদের মনে আছে। আর বর্তমানে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় ড্রোনগুলো কোথা থেকে প্রবেশ করেছে তার প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।
তিনি সম্প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে পাকিস্তান সরকারের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাকিস্তান গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের অস্থিরতা নিয়ে বাণিজ্য করেছে এবং এটিকে নিজেদের আয়ের উৎস বানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ইমারাতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার ফলে সেই আয়ে ভাঁটা পড়েছে। ফলে দেশটি নতুন কৌশল অবলম্বন করছে।
তারা জাতিসংঘের অধিবেশনে ভুল তথ্য দিয়ে নিজেদের সেই বাণিজ্য আবারও চাঙা করতে চায়। আমরা শাহবাজ শরীফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা কাউকে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলার অনুমতি দিই না।
সুতরাং, আপনি যদি ক্ষুধার্ত হন, তাহলে খাবারের খোঁজ করুন। এর জন্য আফগানিস্তান নিয়ে বাণিজ্য করবেন না। এই প্রক্রিয়া এখনই বন্ধ করা উচিত, অন্যথায় আমরা সবসময় চুপ করে বসে থাকবো না। আমরা এর মোক্ষম জবাব দিব। আর পরিস্থিতিও সবসময় একরকম থাকবে না, সময় একদিন আমাদেরও অবশ্যই হবে। তখন পাকিস্তানকেই সকল নৃশংসতার জন্য দায়ী করা হবে।
শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানাকজাই (হাফি.) পাকিস্তানকে উদ্দেশ্যে করে তাঁর বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, জেনে রাখুন! এটা আফগানিস্তান, এখানে অ্যামেরিকান এবং রাশিয়ান নেকড়েরা ঘুরে বেড়াত, আর আপনি তো শুধু শিয়াল।
আমরা রাশিয়ান নেকড়েদের তাড়িয়ে দিয়েছি, গতকাল আমরা অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর নেকড়েদেরও তাড়িয়েছি। আর এখন আমাদের চারপাশের শেয়াল এবং হায়েনারা আছে, যারা আমাদের জন্য কিছুই নয়। ইমারাতে ইসলামিয়ার বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের চামড়া থেকে তাদের পালক ছিনিয়ে নিয়েছি।
সর্বশেষ অ্যামেরিকাকে দোহা চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেন স্তানাকজাই। তিনি বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া এই চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমরা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই।
মাশাআল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ সেদিন খুব বেশি দূরে নয়,যেদিন প্রত্যক গাদ্দার থেকে পাই টু পাই হিসাব বুঝে নেওয়া হবে।
ইমারাতে ইসলামিয়াহ আফগানিস্তান জিন্দাবাদ
সত্য সাহসী বক্তব্য!
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা উনার কন্ঠকে আরও বলিষ্ঠ করুক। আমিন
আমীন
এসব মুনাফিকদের অবশ্য সাস্থি পেতে হবে।