ব্রেকিং নিউজ || তীব্র ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানে নতুন যুদ্ধের সূচনা টিটিপির

ত্বহা আলী আদনান

6
1643
টিটিপির আমীর মুফতী নূর ওয়ালী মেহসুদ (হাফি.) ও একদল জানবায মুজাহিদ

যুদ্ধবিরতি সমাপ্তির পর বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় সামরিক কনভয়ে ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ এর বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ ৩০ নভেম্বর সকালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কনস্ট্যাবুলারির একটি কনভয় কোয়েটার বিলিলি কাস্টমসের কাছ শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। যখন সামরিক কনভয়টি উল্লিখিত এলাকার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই একজন ফিদায়ী (ইস্তেশহাদী) তার গাড়িতে লাগানো বিস্ফোরক ব্যবহার করে সফল বিস্ফোরণ ঘটান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, বিস্ফোরণের পরে বেলুচিস্তান কনস্ট্যাবুলারির কনভয়ের বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হয়ে যায়, এবং কয়েক ডজন কর্মী নিহত ও আহত হয়।

হামলায় ধ্বংস হওয়া সামরিক বাহিনীর একটি ট্রাক

এসময় পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী বরকতময় এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বরকতময় এই ইস্তেশহাদী হামলায় গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩০ সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। আর হামলাটি টিটিপির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর জারি করা সর্বশেষ নির্দেশনার ভিত্তিতে চালানো হয়েছে। যা শহীদ উমর খালিদ খোরাসানী (রহিমাহুল্লাহ্) এর শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে চালানো হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত ২টি ভিডিওতে দেখা যায় যে, বরকতময় এই শহিদী হামলায় গাদ্দার পাকি-বাহিনীর বেশ কয়েকটি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে এবং গাদ্দার বাহিনীর মৃতদেহও মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। স্থানীয়দের মতে, হাতাহত গাদ্দার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪০ এরও বেশি। যাদেরকে উদ্ধারে কাজ করছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও কয়েকডজন সামরিক বাহিনীর সদস্য।

হামলায় ধ্বংস হওয়া সামরিক বাহিনীর একটি বাস

বরকতময় এই হামলাটি ছাড়াও এদিন ডেরা ইসমাইল খান ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আরও ২টি গেরিলা হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ।

এরমধ্যে ডেরা ইসমাইল খানে মুজাহিদদের গেরিলা অপারেশনে ২ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে। সেই সাথে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পরিচালিত হামলায় ৪ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে৷ হামলা দুটি টিটিপির সংশ্লিষ্ট হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপের মুজাহিদরা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, দুই দিন আগে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার ঘোষণা দেয়।

টিটিপি মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, যুদ্ধবিরতি চলাকালে শহীদ হওয়া উমর খালিদ খোরাসানির প্রতিশোধ হিসেবে ইস্তেশহাদী হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে খালিদ খোরাসানির উত্তরসূরি এবং টিটিপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সম্প্রতি মনোনীত সদস্য উমর খোরাসানি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন যে, তিনি সহ টিটিপির মুজাহিদগণ পাকিস্তান গাদ্দার প্রশাসনের মোকাবিলা করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

মাঝে দাড়িয়ে মুহতারাম উমর খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্

তিনি যুদ্ধবিরতির সমাপ্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আলোচনার নামে সর্বদা মুজাহিদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই এখন থেকে যারা পাকিস্তানে ইসলামী শরিয়াহ্ ফিরিয়ে আনতে বাধা দিব, তাদের সাথে মোকাবিলা করার জন্য মুজাহিদরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আর আমরা আমাদের শহীদ আমিরের পদাঙ্ক অনুসরণ করবো এবং প্রতিশোধমূলক হামলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো, ইনশাআল্লাহ্‌।



 

লেখক : ত্বহা আলী আদনান

6 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to মুসান্না প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমঞ্চে উঠে হিন্দু লোককে জুতা দিয়ে পেটালেন নারী
পরবর্তী নিবন্ধমালিতে জাতিসংঘের কনভয়ে আল-কায়েদার হামলায় ৩ শত্রুসেনা আহত