পাক-সিটিডি কম্পাউন্ড এখনও টিটিপির নিয়ন্ত্রণে: কমপক্ষে ৪০ কমান্ডো নিহত

গত ১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বান্নু জেলায় অবস্থিত পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনীর একটি গোপন সামরিক কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) একদল বন্দী মুজাহিদ। তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরেই এই গোপন সামরিক কম্পাউন্ডে আটকে রাখে গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনী।

অবশেষে, ১৮ ডিসেম্বর টিটিপির বন্দী মুজাহিদগণ এক কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) অফিসারকে একটি গোপন কক্ষের কাছে ধরতে সক্ষম হন। এরপর মুজাহিদগণ তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। পরবর্তিতে মুজাহিদগণ তার কাছ থেকে চাবি ও অস্ত্র কেড়ে নেন।

এর পরপরই টিটিপির কমান্ডার জারার হাফিজাহুল্লাহ্’র নেতৃত্বে কম্পাউন্ডে আটক অন্যান্য মুজাহিদগণ মুক্ত হয়ে বাকি সিটিডি সদস্যদের উপর হামলে পড়েন এবং তাদের অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেন। সেই সাথে কম্পাউন্ডের দায়িত্বে থাকা সমস্ত সৈন্যকে মুজাহিদগণ জিম্মি করেন।

এসময় টিটিপির কমান্ডার জারার পাকিস্তান প্রশাসনকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, যদি বন্দীদেরকে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া না হয় তাহলে জিম্মি সিটিডি কর্মকর্তাদেরকে মুজাহিদগণ হত্যা করেন। কমান্ডার জারারের এমন বক্তব্যের পর টিটিপি ও পাক-প্রশাসনের মাঝে আলোচনা শুরু হয় এবং তা দুদিন পর্যন্ত চলতে থাকে। কিন্তু পাকিস্তান গাদ্দার সেনা-প্রশাসন টিটিপির শর্ত মেনে না নিয়ে সামরিক আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।

আলোচনা ভেস্তে গেলে ২০ ডিসেম্বর মনিব আমেরিকার সহায়তায় ঐ সিটিডি কম্পাউন্ডে সামরিক অপারেশন শুরু করে পাকিস্তান। হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত পাকিস্তান-প্রশাসন বেশ কয়েক বার কম্পাউন্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করলেও তাদের এই মিথ্যা দাবিতে জল ঢালছেন টিটিপির মুজাহিদগণ।

গাদ্দার পাকিস্তান সেনারা যখনই কম্পাউন্ডে ঢুকার চেষ্টা করে, তখন টিটিপির মুজাহিদদের পক্ষ থেকে ভারী হামলার শিকার হচ্ছে।

আজ ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মুজাহিদদের দীর্ঘ এই লড়াইয়ে গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৬ অফিসার সহ ৪০ এর বেশি কমান্ডো নিহত হয়েছে। সেই সাথে সামরিক বাহিনী থেকে মুজাহিদগণ আরও অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র ও কয়েকটি সাঁজোয়া যান জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব গনিমত দিয়ে মুজাহিদগণ এখন আরও তুমুল উদ্দীপনার সাথে গাদ্দার সেনাদের নাস্তানাবুদ করে যাচ্ছেন, আলহামদুলিল্লাহ্।