মালির রাজধানী বামাকোতে একযোগে ২টি সফল হামলা আল-কায়েদার: নিহত ৫

আলী হাসনাত

0
685
জেএনআইএম মুজাহিদিনের হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া শত্রুসেনাদের গাড়ি

আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির রাজধানী বামাকো ও এর আশেপাশে তাদের আক্রমণের পরিধি বাড়িয়েছেন। যাতে অনেকটাই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে কুফ্ফার বাহিনী ও তাদের গোলামরা।

আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারিতেও রাজধানী বামাকোর কাসেলা ও মারকাকাউনগো ​​এলাকায় একযোগে দু’টি সফল হামলা চালিয়েছেন প্রতিরোধ (জেএনআইএম) যোদ্ধারা। হামলা দু’টি সামরিক চেকপোস্ট, পুলিশ এবং আধা-সামরিক প্রতিরক্ষা কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হয়েছে।

মুজাহিদগণ তাদের প্রথম হামলাটি চালান মার্কা গ্রামে। সেখানে মুজাহিদদের হামলায় আধা-সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩ সদস্য নিহত হয়। এসময় তাদের ২টি গাড়ি ও ২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ। হামলা শেষে মুজাহিদগণ একটি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যান।

একই সময়ে জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিন তাদের দ্বিতীয় হামলাটি চালান রাজধানীর নিকটতম ক্যাসিলা এলাকায়। হামলাটি পুলিশ বাহিনীর একটি চেকপোস্ট লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এসময় মুজাহিদদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মুজাহিদগণ একটি সামরিক গাড়ি পুড়িয়ে দেন এবং নিরাপদে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যান।

স্থানীয় সূত্র বলছে, মুজাহিদদের এই ২টি হামলায় সামরিক বাহিনীর ৪টি গাড়ি ও ৩টি মোটরসাইকেল ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও জেএনআইএম যোদ্ধারা একটি অ্যাম্বুলেন্স সহ আর ২টি গাড়ি নিয়ে গেছেন।

হামলার কারণ সম্পর্কে জানানো হয় যে, হামলার লক্ষ্যবস্তু সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে এই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের হয়রানি করতো। যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মুজাহিদগণ উক্ত ২টি হামলা চালিয়েছেন, আর এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে। সূত্রটি আরও যোগ করেছে, শত্রুরা তাদের শহর ও জনপদ, বাসস্থান এবং নিরাপদ ঘাঁটি কোথাও নিরাপদে বিশ্রাম নিতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা আল্লাহর শরিয়াহ্’র দিকে ফিরে আসে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিজেদের শত্রুতার হাত ঘুটিয়ে নেয়।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাযওয়াতুল হিন্দের পদধ্বনি: ইসলাম প্রতিষ্ঠা ঠেকাতে ভিএইচপির তিন দিনের বৈঠক
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণাটকে ‘গোহত্যা’ ও ‘লাভ জিহাদ’ সংক্রান্ত কঠোর আইনের দাবি