উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলার দরভাইসপুর গ্রামের মুসলিম বাসিন্দা জুনায়েদ বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ইউপি পুলিশ এর দুই সদস্যকে জুতা পরে মসজিদে প্রবেশ না করতে বলায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে।
দরভাইসপুর গ্রামটি কোখরাজ থানার আওতাধীন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জুনায়েদকে তার কথার বিবরণ দিতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, “দুইজন পুলিশ কনস্টেবল, যারা একটি মসজিদে নামাজের আযান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকার সরাতে আসে, তারা জুতা পরে সোজা ভিতরে ঢুকেছিল এবং আমি তাদের না করার পরেও তারা আমার কথা শোনেনি।”
“ফিরে আসার সময় তারা আমাকে ‘ইয়ে জায়াদা বোল রাহে’ বলে ইশারা করে এবং আমাকে টেনে তাদের পুলিশ জিপে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে আমাকে আটকে রাখে এবং আমার শরীর, হাত ও কানে জোরে জোরে মারতে থাকে। মারধরের কারণে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে গেছে।”
আর তার শরীরের ক্ষত চিহ্নগুলো প্রমাণ করে যে তাকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে।
জুনায়েদ বলেছেন, সেদিন পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অফিসার তাকে হুমকি দিয়েছে যে, থানায় যা হয়েছে তা প্রকাশ করলে তার অবস্থা ভয়াবহ হবে।
স্থানীয় সংবাদপত্র অনুসারে, জুনায়েদ পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে পুরো ঘটনাটি জানায় এবং তার ক্ষতগুলিও দেখায়। পুলিশ সুপার তাকে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে। তবে অপরাধীদের এখনো কোন ধরণের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
তথ্যসূত্র:
——-
1. UP: Muslim youth alleges assault in police custody after requesting officers to remove shoes in mosque
–https://tinyurl.com/5n9a7k63