ইনফোগ্রাফি || সেপ্টেম্বরে টিটিপির ১০৬ অভিযান, হতাহত ২৯২ পাকসেনা

- সাইফুল ইসলাম

0
606

পাকিস্তানের বিদেশি মদদপুষ্ট বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুজাহিদগণ। এ বিষয়ে টিটিপি একটি বিস্তারিত ইনফোগ্রাফিক সংবাদ প্রকাশ করেছে। ইনফোগ্রাফি অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বর মাসে মোট ১০৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে টিটিপি, যাতে মোট ২৯২ সেনা হতাহত হয়েছে।

বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের মুজাহিদগণ পাকিস্তানের খায়বার পাখতুনখুয়া প্রদেশ এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের মোট ১৭টি জেলায় পাকিস্তানী ইসলামবিরোধি বাহিনীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করেছেন। সবচেয়ে বেশি ২৬টি অভিযান চালানো হয়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে।

মুজাহিদগণ ২০টি অভিযান চালিয়েছেন স্নাইপার বা লেজার সাইট গান দিয়ে। অ্যাসল্ট আক্রমণ চালানো হয়েছে ১৯টি, গেরিলা আক্রমণ ১৬টি ও টার্গেটেড আক্রমণ ১৬টি, পাল্টা আক্রমণ ১৪টি, গ্রেনেড ও আইইডি বোমা বিস্ফোরণ ৯টি, অ্যাম্বুশ ৮টি এবং ৪টি মিসাইল আক্রমণ চালানো হয়েছে।

এসকল হামলায় ১২৩ শত্রুসেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১৬৯ জন। টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মাসব্যাপী অভিযানে সর্বমোট ২৯২ সেনা হতাহত হয়েছে; পাশাপাশি ৮ শত্রুসেনাকে গ্রেফতারও করেছেন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের মুজাহিদগণ।

টিটিপির বেশিরভাগ অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী; ১৮৫টি হামলা চালানো হয়েছে বিদেশি মদদপুষ্ট পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উপর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬টি অভিযান চালানো হয়েছে ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) বাহিনীর উপর, ৪৩টি পুলিশ বা সিটিডির উপর এবং বাকি ১৮টি অভিযান চালানো হয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যদের উপর।

টিটিপির নানামুখি আক্রমণে শত্রুবাহিনীর ১৩টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও ১১টি গোয়েন্দা ক্যামেরা, ৭টি সামরিক পোস্ট, ২টি ড্রোন ক্যামেরা এবং বিশাল সংখ্যক সামরিক যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
এসময় মুজাহিদগণ গণিমত হিসেবে পেয়েছেন ২টি একে-৪৭ রাইফেল, ২টি নাইট ভিশন বাইনোকুলার, ১টি রকেট লাঞ্চার, ১টি মেশিনগান,১ টি বন্দুক এবং বিভিন্ন ধরনের সামরিক যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রশস্ত্র।

পাকিস্তানের শারিয়াবিরোধী সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধে বহু বছর যাবৎ লড়াই চালিয়ে আসছেন তেহরিকে তালেবানের মুজাহিদগণ। তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের তীব্র হামলার মুখে বার বার নতি স্বীকারমূলক আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান সরকার। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রচেষ্টায় একাধিকবার চুক্তি ও যুদ্ধবিরতি হলেও, পাকিস্তানী সেনা ও শাসকগোষ্ঠী চুক্তি ভঙ্গ করে বরাবরই ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। আলোচনায় আগত একাধিক টিটিপি উমারাকে ফেরার পথে হত্যা পর্যন্ত করেছে তারা। বিপরীতে শত্রুদের উপর আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে শরীয়া কায়েমের সংগ্রামকে বেগবান করেছেন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদগণ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্য সোমালিয়ায় শাবাবের অভিযান, হতাহত কমপক্ষে ১৬৮
পরবর্তী নিবন্ধঅপারেশন আল-আকসা ফ্লাড: আল-আকসাকে মুক্ত করতে ফিলিস্তিনিদের জাগরণ!