বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন উঠছিল যে, পাকিস্তান সরকার যুদ্ধবিরতির জন্য নবগঠিত আফগান সরকারের মধ্যস্থতায় পাক-তালিবানের (টিটিপি) সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছে। অবশেষে পাক-তালিবান ও সরকার উভয়েই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিবরণ অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত উভয় বাহিনীর মাঝে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিটিপির সাথে প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিল পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা। আর দ্বিতীয় বৈঠকে উপস্থিদ ছিল দেশটির রাজনৈতিক নেতৃস্থানীয়রা। তবে এসব বৈঠকে তেমন কোন ফলাফল আসেনি। কারণ পাক-তালিবান প্রথম থেকেই কয়েকটি শর্তের উপর আলোচনা শুরু করে, যা পাকিস্তানের গাদ্দার সরকার বা সামরিক বাহিনী মেনে নেয় নি, তাই এসব বৈঠকে কোন ফলাফলও আসেনি।
অপরদিকে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) পূর্বের যেকোন সময়ের চাইতে এখন দেশটির সর্ববৃহৎ ও সুসংগঠিত একটি শক্তিশালী বাহিনী হয়ে উঠেছে। এই বাহিনীর ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একের পর এক বীরত্বপূর্ণ হামলায় প্রতিদিনই নাস্তানাবুদ হচ্ছে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনী। ফলে টিটিপির শর্তে মনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায়ও দেখছেনা পাকিস্তান সরকার।
তাই পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনী পাক-তালিবানের সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে ও একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে মরিয়া হয়ে উঠে। আর এই আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে গ্রহণ করা হয় পাক-তালিবানের মিত্র বা পাক তালিবান যাদেরকে আমীর মানে,- সেই ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে।
তালিবান সূত্রগুলো জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দলের প্রধান হিসাবে ভূমিকা পালন করবেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হাক্কানী নেটওয়ার্কের প্রধান আলহাজ মৌলভী শাইখ সিরিজুদ্দিন হাক্কানী হাফিজাহুল্লাহ্।
পাক-তালিবান ও সরকারের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে কারা আলোচনা করবেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
এদিকে পাক-তালিবান ও পাকিস্তান সরকার প্রাথমিক একটি বৈঠকের পর জানিয়েছে যে, তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এজন্য তারা ব্যক্তি, স্থান, সময় ও প্রাথমিক কিছু শর্ত নির্দিষ্ট করেছেন।
পাকিস্তান সরকারের পক্ষে এই বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ এবং তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বিবৃতি দিয়েছে, সেই সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারাও এবিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে।
শেখ রশিদ বলেছিল যে, এই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করা হবে, অন্যদিকে ফাওয়াদ চৌধুরী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করেছে।
শাহ মেহমুদ কোরেশি বলছে যে আমরা শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছে যে এই সমস্যাটি সংসদে রয়েছে। তাই দ্রুতই এর সমাধান করা উচিত।
অন্যদিকে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্ বৈঠকের পর একটি বিবৃতি জারি করেছেন, যেখানে তিনি যুদ্ধবিরতি সহ প্রাথমিক বৈঠকে তিনটি পয়েন্টে আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন:
১- উভয়পক্ষ আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছে; এই কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ এবং উভয় পক্ষের দাবির বিষয়ে আলোচনা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।
২- উভয় পক্ষ এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা আজ ৯ নভেম্বর থেকে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে, আলোচনা ও উভয় পক্ষের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির এই সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
৩- আলোচনাকে সামনে এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি পালন করতে বাধ্য থাকবে।
৪- ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান বর্তমান আলোচনা প্রক্রিয়ায় পাক-তালিবান (টিটিপি) এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করবে।
টিটিপি মুখপাত্র আরও বলেন, “তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) পাকিস্তানের জনগণকে নিয়ে গঠিত একটি ইসলামিক জিহাদি আন্দোলন, তাই এটি সর্বদা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সাথে জাতীয় স্বার্থকেও মাথায় রেখে কাজ করে। আর আলোচনা যুদ্ধেরই একটি অংশ, দুনিয়ার কোন শক্তিই এটিকে অস্বীকার করতে পারে না। তাই তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান এমন একটি সংলাপের জন্য প্রস্তুত যা দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে, আমাদের জনগণ শান্তির বসন্ত দেখতে পাবে এবং যেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান নামক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, সেই লক্ষ্য অর্জনেও সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে একই ধরনের অনেক আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু প্রত্যেকবারই পাকিস্তান সরকার ও গাদ্দার সামরিক বাহিনী মুজাহিদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কয়েকবার তো তারা আলোচনায় অংসগ্রহণকারী মুজাহিদদের শহীদ পর্যন্ত করেছে। আলোচনা শেষে ফিরার পথে ড্রোন হামলা চালিয়ে টিটিপির প্রধানকেও শহীদ করা হয়েছিল।
তবে এবার মদ্ধস্ততাকারি হিসেবে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান থাকায় অনেকটা নিশ্চিত থাকতে পারছে মুসলিমরা।
আলহামদুলিল্লাহ্। উম্মাহর জন্য এতো খুশির সংবাদ। মনে হচ্ছে খুব দ্রুতই পুরো পাকিস্তানও মুজাহিদদের দখলে আসতে চলেছে ইনশা আল্লাহ্।
গাদ্দার সরকার আলোচনায় বসলে সমাধান করলে গাদ্দার সরকারের জন্য মঙ্গল, সেটা একজন মুজাহিদ এর জন্য মঙ্গল নয়, একজন মুজাহিদ আল্লাহ তা’আলার জন্য লড়ে সেতো লড়তে থাকায় পছন্দ করে যুদ্ধ করতে থাকায় পছন্দ করি সে তো বসে থাকতে পছন্দ করে না
আলোচনা যুদ্ধেরই অংশ ভাই। এটা মূলত একটি যুদ্ধ কৌশল এবং যুদ্ধের পর ফল লাভের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাহাবীদের জীবনে এমন বহু দৃষ্টান্ত আছে।
কোন আলোচনা নয়, যুদ্ধ চালিয়ে যাও পাক-তালেবান!
আলোচনা যুদ্ধেরই অংশ। এটা মূলত একটি যুদ্ধ কৌশল এবং যুদ্ধের পর ফল লাভের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাহাবীদের জীবনে এমন বহু দৃষ্টান্ত আছে।
আলোচলান টপিক কি কি থাকবে সেটা উল্লেখ করা হলে ভাল হত।
মাইরের উপর ঔষধ নাই…!
মাশাআল্লাহ