ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৩

- সাইফুল ইসলাম

0
201

স্বীকৃত একটি পথে সহায়তা নিয়ে যাওয়ার সময় একটি সহায়তাকারী কনভয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। জাতিসংঘের সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান মার্টিন গ্রিফফিথস বলেছে, ‘মানবিক সহায়তাকারী কর্মীদের উপর হামলা চালানো বেআইনী।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জায়োনিস্ট প্রতিনিধি শপথ করেছে যে, যদি দখলীকৃত ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর আক্রমণ চলতে থাকে, তবে জায়োনিস্ট বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর উপর ‘পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ’ শুরু করবে।

নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের দূত বলেছেন, দখলদার ইসরায়েল গাজার মানুষদেরকে মৃত্যু অথবা গাজা ছেড়ে চলে যাওয়া – এই দুটি অপশনের যেকোনো একটি বেছে নিতে বলেছিল।

সন্ত্রাসী ইসরায়েল গাজায় এখন পর্যন্ত ২১,৫০৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

২৯শে ডিসেম্বর দখলদার বাহিনীর উপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

আল-কাসসাম ব্রিগেড:

আল-বুরেইজ ক্যাম্পের উত্তরে দখলদার বাহিনীর বেশকিছু সামরিক যান ও জায়োনিস্ট সৈন্যদের লক্ষ্য করে ৪টি ব্যারেল বোমা এবং একটি অ্যান্টি পার্সনেল ‘টেলিভিশন’ বোমা বিস্ফোরিত করেছেন মুজাহিদগণ। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে ২টি মারকাভা ট্যাংক ও ১টি সামরিক ডি৯-বুলডোজার ধ্বংস করেছেন।
আল-বুরেইজ ক্যাম্পের উত্তরে একটি ভবনের ভেতরে অবস্থান নেওয়া দখলদার বিশেষ বাহিনীর উপর হামলা করেছেন। কাছাকাছি অবস্থান থেকে যুদ্ধ করার পাশাপাশি শত্রুদের উপর বোমা বিস্ফোরিত করেছেন মুজাহিদগণ। এতে কতিপয় শত্রুসেনা হতাহত হয়েছে।
বেইত হানুনে দখলদার বাহিনীর একটি স্কাইলার্ক-২ গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করেছেন। ভিডিও-ও প্রকাশিত করেছেন সেটির।
খান ইউনিসের দখলদার বাহিনীর সামরিক যান ও সৈন্যদের লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
এক ভবনে অবস্থান নেওয়া দখলদার বাহিনীর একটি দলকে অ্যান্টি-পার্সনেল বিস্ফোরক ডিভাইস ও টিবিজি দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে বহু সংখ্যক দখলদার সৈন্য হতাহত হয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় কেবল আল-দারাজ ও আল-তুফফাহ এলাকায় ২০টি জায়োনিস্ট গাড়িকে টার্গেট করে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছেন মুজাহিদগণ। এখন পর্যন্ত ঐ এলাকায় দখলদার বাহিনীল ৭২টি গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দখলদার বাহিনীর ৫০২ অফিসার ও সৈন্যকে নিহত করেছেন তাঁরা। আহত হয়েছে ২,১৮৩-এর বেশি জায়োনিস্ট সৈন্য।

আল-কুদস ব্রিগেড:

খান ইউনিসের পূর্বে আবাসন এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর ৬০মিমি মর্টার হামলা চালানো হয়েছে।
 আল-বুরেইজ ক্যাম্পে আরপিজি দিয়ে একটি জায়োনিস্ট সামরিক যানকে টার্গেট করা হয়েছে।

শহীদ উমার আল-কাসেম বাহিনী:

খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর গাড়িতে বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত করেছেন। এতে শত্রুসৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
বুরেইজের ‍উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক জায়োনিস্ট সৈন্যের উপর স্নাইপার হামলা চালানো হয়েছে। এতে ঐ সৈন্য আহত হয়েছে।

আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:

খান ইউনিসে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার দিয়ে দখলদার বাহিনীর যান ও সৈন্যের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
খান ইউনিসে ৮ সদস্যের জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয়েছে। এতে শত্রুসেনারা হতাহত হয়েছে।
আল-বুরেইজ ক্যাম্পের উত্তরে দখলদার বাহিনীল সাথে আরপিজি ও তীব্র বুলেট দিয়ে যুদ্ধ হয়েছে।

শহীদ জিহাদ জিবরিল ব্রিগেড:

বুরেইজের পূর্বাঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী দখলদার বাহিনীর উপর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার হামলা চালানো হয়েছে।

মুজাহিদিন ব্রিগেড:

মধ্যমমানের মর্টার দিয়ে আল-কারারা এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

আল-নাসের সালাহ আল-দ্বীন ব্রিগেড:

বুরেইজ ক্যাম্পের উত্তরে দখলদার বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে শত্রুসেনাদের মধ্যে সুনিশ্চিত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
পরবর্তী নিবন্ধমুজাহিদদের প্রতিরোধের মুখে ৩ হেলিকপ্টারসহ আরও ১৯টি সামরিক যান ধ্বংস জায়োনিস্ট বাহিনীর