ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

- সাইফুল ইসলাম

0
258

রাফাহ শহরের কুয়েতি হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার একজন কর্মী সেখানে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তিনি বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার অন্যান্য এলাকাতেও হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এর মধ্যে মাগাঝি এবং আয-যাওয়ায়দা এলাকাতেও হামলা চালিয়েছে তারা।

মিশরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বিষয়ক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে গেছেন হামাসের একদল প্রতিনিধি।

পূর্ব জেরুজালেমের একটি চেকপয়েন্টে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জায়োনিস্ট বাহিনী বলেছে, ঐ ফিলিস্তিনি ছুরি নিয়ে দখলদারদের উপর হামলা করেছিলেন। এতে দুই দখলদার আহত হয়েছে।

সিরিয়ান সরকারি টেলিভিশন জানিয়েছে, দামেস্কে হামলা করেছে ইসরায়েল। এই হামলা সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান সামরিক ও গোয়েন্দা সূত্র।

গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২১৩২০ জন ফিলিস্তিনি।

২৮শে ডিসেম্বর দখলদার বাহিনীর উপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

আল-কাসসাম ব্রিগেড:

গাজাজুড়ে দখলদার বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে তাদের ৮টি সামরিক যান, ৮টি মারকাভা ট্যাংক ও ১টি সামরিক ডি৯-বুলডোজার ধ্বংস করেছেন।
আল-মাগাঝি ক্যাম্পে দখলদার বাহিনীর একটি মারকাভা ট্যাংকে ইয়াসিন-১০৫ দিয়ে হামলা করেছেন। শত্রুদের অবস্থানে মর্টার দিয়েও হামলা চালিয়েছেন তাঁরা।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর সামরিক যান ও অবস্থানে মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
 খান ইউনিসের খাজা এলাকায় অনুপ্রবেশকারী দখলদার বাহিনীর উপর সফলভাবে একটি অ্যান্টি পার্সনেল ‘রাদিয়া’ বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত করেছেন। এতে দখলদার সেনারা হতাহত হয়েছে।
তাল আল-রাইস এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
 খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর একটি এপিসি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
 খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর আরেকটি মারকাভা ট্যাংক সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছেন। ট্যাংকটি আগুনে জ্বলছিল।
গাজার উত্তরাঞ্চলের আয-যায়তুন এলাকায় দখলদার বাহিনীর একটি ‘স্কাইলার্ক-২’ ড্রোন ভূপাতিত করেছেন। ড্রোনটি গোয়েন্দা মিশন নিয়ে এসেছিল গাজায়।

আল-কুদস ব্রিগেড:

 বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধে দখলদার বাহিনীর দুটি সামরিক যান ধ্বংস করেছেন।
আল-বুরেইজ ক্যাম্পের তালকাদুম এলাকায় দখলদার বাহিনীর সৈন্য ও সামরিক যানের উপর মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
যায়তুনের আবু উরুবান এলাকায় দখলদার বাহিনীর একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে রকেট হামলা চালিয়েছেন।
খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর অবস্থান ও সামরিক যানে রকেট হামলা চালিয়েছেন।

শহীদ আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:

খান ইউনিসে দখলদার বাহিনী স্ট্রিট ৫-এ একটি ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিল। তাদেরকে লক্ষ্য করে আরপিজি দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুরা হতাহতের শিকার হয়েছে।
খান ইউনিস ও স্ট্রিট ৫-এর আশপাশে শত্রুসেনাদের উপর মর্টার হামলা চালিয়েছেন।

শহীদ উমার আল-কাসেম বাহিনী:

খান ইউনিসে অনুপ্রবেশকারী জায়োনিস্টদের সামরিক যান লক্ষ্য করে ভারী মর্টার হামলা চালিয়েছেন।

আল-আকসা শহীদী ব্রিগেড:

খান ইউনিস এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
খান ইউনিসের আল-বালাদ এলাকায় আরপিজি দিয়ে দখলদার বাহিনীর দুটি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
আল-তুফফাহ এলাকায় দখলদার বাহিনীর সাথে মেশিনগান ও আরপিজি নিয়ে লড়াই করেছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশ্চিম আফ্রিকার ৩ দেশে জেএনআইএমের ৩০ অভিযান
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৩