ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে, এরই মাঝে ভোট কেন্দ্রে মুসলমানদের মারধরের খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা আমেথিতে পুলিশ ভোট কেন্দ্রে ঢুকে কোন কারণ ছাড়াই মুসলমানদেরকে নির্বিচারে মারধর করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তিলোইতে ৩০৯ নম্বর ভোট কেন্দ্রে।
সরকারি আন্তঃ কলেজের আরেকটি ভোটকেন্দ্রও এমন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে মুসলিম মহিলাদের বিশেষ চাপের মুখে পড়তে হয়েছে।
সাবরাং ইন্ডিয়া একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় মুসলমানরা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া আঘাতের চিহ্ন দেখাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, পুলিশ বিনা কারণে লোকজনকে নির্বিচারে মারধর শুরু করে। বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সাবরাং ইন্ডিয়া এর আগে দেখিয়েছে যে, বেশ কয়েকটি রাজ্যে কীভাবে বিজেপি নির্বাচন সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন এবং মুসলিমদেরকে হয়রানি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ, তেলেঙ্গানাতে বিজেপি প্রার্থী মাধবী লাথা ভোট কেন্দ্রে মুসলিম মহিলা ভোটারদেরকে তাদের হিজাব খুলতে এবং তাদের পরিচয়পত্র দেখানোর জন্য জোরাজুরি করেছে।
একইভাবে, উত্তরপ্রদেশের সম্বলে একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ মুসলিমদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা আরও বলেছেন যে, পুলিশ তাদের সহিংসভাবে মারধর করে এমনকি ভোট দেওয়ার জন্য তাদের সাথে নিয়ে আসা কাগজপত্রও ছিনিয়ে নেয়।
তথ্যসূত্র:
1. Amethi: Locals claim police beat up Muslims at polling booths
– https://tinyurl.com/mr2rmpff
তাগুদ সাফল্যের চুড়ান্তে পৌছানোর এক পর্যায়ে আজকের ভারতীয় প্রশাসনের পলিসি গ্রহণ করে। হামানের প্রশাসন আমাদের তাগুদের চুড়ান্ত রূপের ছবি। তাগুদ আল্লাহর বান্দাদের ভোট দেয়ায় প্রলুব্ধ করে – হাকিম হিসেবে আল্লাহকে (আহকামুল হাকিম) বাস্তবিক ভাবে অস্বীকার করাবার মাধ্যমে তাঁদের ঈমান – আকিদা কেড়ে নিয়েছে।আল্লাহর বান্দা আল্লাহর মদদ থেকে মাহরুম হয়ে গেছে তাঁর কুফুরির কারনে। বান্দা বে-খবর।নিজেকে মুসলমান মনে করছে । শয়তানের অনুসারিরা তাঁকে তাঁদের সাথে মিলিয়ে নেবার আহ্বান জানায়। মৌখিক ভাবে – কাগজে ঘোষণা কৃত ধর্ম থেকে বেরিয়ে এসে তাঁদের সাথে মিলে যাবার দাওয়া এটা।
ভারতের প্রশাসন পৃথিবির প্রতিটা তাগুতের জন্যে পথ চলার দিক নির্দেশনা – আদর্শ স্থাপন করছে । বাকি সমস্ত তাগুদ ভারতকে ক্রমান্বয়ে অনুসরণ – অনুকরণ করবে।
{মহান আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ ﴿آلعمران: ٢٨﴾
“মু’মিনগন যেন অন্য মু’মিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।” (সূরা আলে-ইমরান: ২৮)
ইমাম ত্ববারী রহ. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-
ومعنى ذلك لا تتخذوا أيها المؤمنون الكفار ظهراً وأنصاراً، توالونهم على دينهم، وتظاهرونهم على المسلمين من دون المؤمنين، وتدلونهم على عوراتهم، فإنه من يفعل ذلك فليس من الله في شيء، يعني بذلك فقد برىء من الله وبرىء الله منه بارتداده عن دينه ودخوله في الكفر
.
“এর অর্থ হচ্ছে, হে মু’মিনগণ! তোমরা কাফেরদেরকে সাহায্য ও সহায়তাকারীরূপে গ্রহণ করো না; এভাবে যে তোমরা মু’মিনদের ব্যতিরেকে তাদেরকে তাদের দ্বীনের ক্ষেত্রে ভালোবাসবে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করবে, মু’মিনদের দুর্বলতা তাদের নিকট প্রকাশ করবে। কেননা যে এ ধরনের কাজ করবে, সে আল্লাহর জিম্মা থেকে মুক্ত। অর্থাৎ উপরোক্ত কর্মের কারণে তার সাথে আল্লাহ তা‘আলার এবং আল্লাহ তা‘আলার সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। কেননা সে দ্বীন থেকে রিদ্দাহ করেছে (মুরতাদ হয়ে গেছে) এবং কুফরে প্রবেশ করেছে।” (তাফসীরে ত্ববারী, ৩/২৭৭) }