
প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে, দলটির মুজাহিদগণ বীরত্বপূর্ণ এক অভিযান শেষে সোমালিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুফগাদুদ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
সোমালিয়ার বাইদোয়া রাজ্যের কেন্দ্রীয় শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের শহর গুফগাদুদ। দখলদার ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনীর সবচাইতে বেশি সামরিক ঘাঁটি এই অঞ্চলেই অবস্থিত। তথাপি এই রাজ্যটি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে শাবাবের অবরোধের মধ্যে রয়েছে। সময়ে সময়ে এর বিভিন্ন শহর ও সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে আর্থিক ও সামরিকভাবে প্রচুর লাভবান হয় আশ-শাবাব। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুলাই শুক্রবার সকালেও গুফগাদুদ শহরটির ৩টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একযোগে অতর্কিত আক্রমণ চালান হারাকাতুশ শাবাবের শতাধিক মুজাহিদ। আক্রমণ শুরুর পর শত্রুর সরবরাহ পথ বন্ধ করতে শহরের প্রবেশ পথগুলো অবরোধ করেন শাবাবের অন্য যোদ্ধারা। ফলে বাহির থেকে কোনো সহায়তা না পেয়ে এবং হারাকাতুশ শাবাবের তীব্র আক্রমণে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে মোগাদিশু সরকারি বাহিনী। ঘাঁটিগুলোর দায়িত্বে থাকা অধিকাংশ সেনা সদস্যই নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করে নিজেদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়।
বাকি কিছু সংখ্যক সেনা সদস্য প্রতিরোধ গড়ে তুলার চেষ্টা করেও শাবাবের তীব্র আক্রমণের সামনে টিকে থাকতে পারে নি। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই এসব সেনারা শাবাবের দুঃসাহসী যোদ্ধাদের আক্রমণে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং অনেকে বন্দী হয়। মোগাদিশু বাহিনীর এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ৩টি সামরিক ঘাঁটি ও গুফগাদুদ শহরের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন।
শাবাব সংশ্লিষ্ট শাহাদাহ এজেন্সি এই অভিযানের প্রাথমিক ফলাফলের এক রিপোর্টে উল্লেখ করে যে, মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে অন্তত ১০ সেনা নিহত এবং আরো ১৩ সেনা আহত হয়েছে। এছাড়াও অনেক সেনাকে মুজাহিদগণ বন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ ঘাঁটিগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে মেশিনগান, আরপিজি, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন।