সিরিয়ান ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা দীর্ঘ ৫০ ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আলেপ্পো সিটির কেন্দ্রীয় শহরে ঢুকে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত বুধবার সকাল থেকেই খুব সতর্কতার সাথে শত্রু নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো সিটির পশ্চিমাঞ্চলে জড়ো হতে থাকেন মুজাহিদিনরা। এসময়টাতে শত্রু বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে প্রতিদিনের মতো মুজাহিদিনরা শত্রু অবস্থানগুলোতে আর্টিলারি ও রকেট হামলা চালাতে থাকেন। আর চুড়ান্ত প্রস্তুতি শেষে দুপুরের পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৫ শত মুজাহিদ বাহিনীর একটি দল শত্রু নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একযোগে আক্রমণ করে বসেন। এতে শত্রু বাহিনী দিকভ্রান্ত হয়ে পিছু হটতে থাকে আর মুজাহিদিনরা দ্রুততার সাথে অগ্রসর হতে থাকেন। এরপর আরও কয়েক হাজার মুজাহিদ এই অভিযানে অংশ নেন।
ফলশ্রুতিতে “রদ্দুল উদওয়ান” অপারেশন শুরুর ২৪ ঘন্টায় মুজাহিদিনরা আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলের ২০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীর উচ্চপদস্থ ১২ অফিসার সহ অন্তত ২০০ সেনা নিহত এবং কয়েক শতাধিক সৈন্য আহত হয়, মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয় ২৬ সৈন্য। আর মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেন ১৩টি ট্যাংক, ৫টি সাঁজোয়া যান, দূরপাল্লার ভারী মেশিনগান যুক্ত ৫টি গাড়ি সহ ২টি বিশাল অস্ত্রের ডিপো।
এরপর মুজাহিদিনরা অপারেশনের গতি বাড়াতে পূর্ব ইদলিবেও শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন, বিশেষ করে m5 মহাসড়কের আশপাশের এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিশেষে মুজাহিদিনরা অভিযান শুরুর ৩৬ ঘন্টার মাথায় আলেপ্পো সিটির পশ্চিমাঞ্চলের ২৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত ৩২ গ্রাম এবং ইদলিবের ৩২.১ কিলিমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে অন্তত ৫টি গ্রাম শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হন। সেই সাথে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, হোমস, হামা এবং আলেপ্পো সহ প্রধান শহরগুলির সংযোগকারী এম-৫ (M5) হাইওয়েটির উপর মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সড়ক মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় রাজধানী দামেস্ক থেকে শত্রু বাহিনীর জন্য দ্রুততার সাথে আসা সরবরাহ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
মুজাহিদিনরা এভাবেই অবিশ্বাস্য গতিতে আলেপ্পোর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন এবং ২৯ নভেম্বর শত্রুবার ভোর রাতে নিউ আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যান। এরমধ্য দিয়ে মুজাহিদিনরা ৪৫ ঘন্টার তীব্র অভিযানের মাধ্যমে পুরো পশ্চিম আলেপ্পোকে শত্রু মুক্ত করেন। যেহেতু নিউ আলেপ্পো শহরটিই ছিলো আলেপ্পো সিটির কেন্দ্রে প্রবেশের সর্বশেষ শত্রু বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা, তাই শহরটিতে মুজাহিদদের কিছুটা ধীরগতিতে অগ্রসর হতে থাকেন। একই সময় মুজাহিদিনরা দক্ষিণ আলেপ্পোতে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেন।
যা দেখে মাঠ পর্যায়ের অনেক বিশ্লেষকরা ধারণা করছিলেন যে, মুজাহিদিনরা কেন্দ্রীয় শহরে প্রবেশের পরিবর্তে দক্ষিণ দিক থেকে শহরকে অবরোধ করবেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুজাহিদিনরা ২৯ নভেম্বর বিকালে নিউ আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ সম্পন্ন করে আলেপ্পো সিটির কেন্দ্রীয় শহরে ঢুকে পড়েন।
এই রিপোর্ট তৈরি পর্যন্ত মুজাহিদিনরা কেন্দ্রীয় আলেপ্পো শহরের প্রধান স্টেডিয়াম, আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়, ১০৭০টি অ্যাপার্টমেন্ট, ৩০০০ অ্যাপার্টমেন্ট সহ অন্তত ৭টি এলাকা মুক্ত করেছেন। বাকি অংশে আসাদ বাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা তীব্র হয়েছে।
আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার
Alhamdulillah
আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং বিজয় অতি নিকটে।
আল্লাহু আকবর
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ বিজয় দায়েম রাখুন কায়েম রাখুন।
তাহলে এখন যদি বাশার আল আসাদ সরে যায় তাহলে আবার বিদ্রোহীদের সাথে মুজাহিদদের যুদ্ধ হবে? যারা এতদিন একই সাথে বাশারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন?
দুয়া করুন যাতে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে নিজস্ব স্বার্থ ভুলে উম্মাহর খাতিরে ইসলামের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। কোন ঝামেলা যেন সৃষ্টি না হয় ইনশাআল্লাহ্।
শেষ বিজয়ের হাসিা মুজাহিদদের
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ