
ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)। তবে সংস্থাটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ভারত ওই বিবৃতিকে সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং নিজেকে আলাদা রেখেছে।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে আকস্মিক বিমান হামলা চালায়। এতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, কয়েকজন জেনারেল এবং পরমাণু বিজ্ঞানীসহ শতাধিক মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে। এ হামলার পর ১৪ জুন এসসিও এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের নিন্দা জানায়।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলো মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইসরায়েলি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।
এসসিও আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলাগুলো ‘বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন’। সংস্থাটির মতে, এসব হামলা ‘ইরানের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় হুমকি এবং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এসসিও সদস্য দেশগুলো বিশ্বাস করে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত পরিস্থিতির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন।’ সেইসঙ্গে ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
সংস্থাটি জানায়, এসসিও-ভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে পরিচালিত যেকোনো বেআইনি পদক্ষেপকে তারা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তবে ভারত বিবৃতিটি অনুমোদন করেনি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এসসিওর ঘোষণাপত্র সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও’র বর্তমান সদস্য ১০টি। দেশগুলো হলো—চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান ও বেলারুশ। ২০২৩ সালে ইরান সংস্থাটির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
তথ্যসূত্র:
1. SCO condemns Israeli strikes on Iran as over 100 killed; India dissents
– https://tinyurl.com/3jjs8fzy