
ফ্রান্সের মার্সেই শহরের উপকণ্ঠে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটাইয়ো জানিয়েছে, প্রায় ৮০০ দমকলকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ফরাসি গণমাধ্যম অনুযায়ী, অন্তত ৪০০ জন বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৯ জন দমকলকর্মীও রয়েছে।
দাবানল এত দ্রুত ছড়াচ্ছিল যে, এক সময় প্রতি মিনিটে প্রায় ১.২ কিমি হারে আগুন অগ্রসর হচ্ছিল। বাতাসের গতি, ঘন গাছপালা এবং খাড়া ঢালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে।
৮ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বন্ধ থাকা মার্সেই প্রোভঁস বিমানবন্দর রাত ৯:৩০ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এত বড় সংকট আগে কখনো দেখেনি।
আগুনটি মার্সেই শহরের উত্তরে পেন-মিরাবো এলাকায় একটি গাড়ির আগুন থেকে শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৭০০ হেক্টর (৭ বর্গ কিমি) এলাকা পুড়ে গেছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা মনিক বাইলার্ড জানায়, চিত্রটা ভয়াবহ, যেন এক প্রকার মহাপ্রলয়। তার অনেক প্রতিবেশী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এদিকে, ফ্রান্সের নরবন এলাকায়ও আরেকটি দাবানল চলছে, যেখানে প্রায় ২,০০০ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬০ কিমি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাতালোনিয়া অঞ্চলেও দাবানল দেখা দিয়েছে। তাতারাগোনা প্রদেশে মঙ্গলবার ১৮,০০০-এর বেশি মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় ৩,০০০ হেক্টরের বেশি জমি আগুনে পুড়েছে।
এছাড়া, গ্রিসে সোমবার একদিনেই ৪১টি দাবানল শুরু হয়েছে, যার মধ্যে ৭টি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ গ্রীষ্মের শুরুতে তীব্র দাবদাহের কবলে পড়ে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র:
1.More than 110 injured after Marseille wildfire, minister says
– https://tinyurl.com/2ys7aven
2. More than 100 hurt as wildfire rages near Marseille
– https://tinyurl.com/bdhzrknk