সীমান্তে বাংলাদেশি তরুণী ফেলানী হত্যার বিচার ৯ বছরেও না হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘৯ বছরেও ফেলানী হত্যার কোনো বিচার না হওয়া আমাদের গালে কষিয়ে চড় দেয়ার মত। ভারতীয়দের এই ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
এসময় তিনি ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রোড ফেলানীর নামে নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আরও বলেন, ভারতীয়দের মনে করে দিতে হবে যে, অন্যায়কে আমরা ভুলে যাইনি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতীয় বাহিনী ১৫ বছর বয়সী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করে ৫ দিন সীমান্তে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ ঘটনার বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।
ভারতের পতন অনিবার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ছাড়া ভারতীয়দের এই অন্যায় অন্যায্য কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যাবে না। ভারতের বিভক্তি আসন্ন। তাদের ধ্বংসলীলা দেখতে থাকুন।
এসময় ভাততের প্রতি সরকারের ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির’ সমালোচনা করেন ডা. জাফরুল্লাহ। বলেন, আজ ভারতে যেসব ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে তার কোনো প্রতিবাদ নাই। সরকারের এই নতজানু ব্যবস্থাপনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। যা দেশবাসীর জন্য ভয়ঙ্কর অমঙ্গল ডেকে আনবে।
কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকার আশপাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টের ১০০ গজের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সারাদেশে এমন ঘটনা ঘটছে।’
সুত্রঃ যুগান্তর