২০১৯ সালে ৯০২ শিশু-তরুণী ধর্ষণের শিকার

0
862
২০১৯ সালে ৯০২ শিশু-তরুণী ধর্ষণের শিকার

আগের বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে শিশুর মৃত্যুহার, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৯০২ শিশু ও তরুণীকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৫৬ জন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে দেশে ২৮০ জন শিশু-তরুণীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে নিহত হয়েছে ২৬৬ জন। আগের বছর ২০১৮ সালে নিহতের এ সংখ্যা ছিল ২২৭ জন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি। বছরজুড়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তকে উৎস করে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনটি জানায়, ২০১৯ সালে দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশু অর্থাৎ ৯৮৬ শিশু নিহত হয়েছে বিভিন্ন দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫৩ এবং পানিতে ডুবে মারা গেছে ২৫২টি শিশু। এ ছাড়া ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, হত্যা, অপহরণ, নিখোঁজ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে আরো ৩৬১ জন শিশু।

সংগঠনটি জানায়, গেল বছর ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু-তরুণীরাই ধর্ষণের শিকার হয়েছে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ শতকরা ৪৮ ভাগ, ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ৩৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ সংখ্যক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা জেলায়, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলা।

এমজেএফ জানায়, গেল বছর যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯৩ জন শিশু। যার মধ্যে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীর সংখ্যাই বেশি। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৭ জন।

সংগঠনটির জরিপে উঠে আসে, ২০১৯ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৩২৯ জন শিশু। এর মধ্যে মারা গেছে ২৬৬ জন এবং আহত হয়েছে ৬৩ জন। ২০১৮ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার সংখ্যা ছিল ২৭৬ জন। এর মধ্যে মারা গিয়েছিল ২২৭ জন এবং আহত হয়েছিল ৪৯ জন। এসব হত্যাকাণ্ড ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সংখ্যাই বেশি।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে মারধর করলো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ
পরবর্তী নিবন্ধফেলানী হত্যার বিচার না হওয়া আমাদের গালে কষিয়ে চড় দেয়ার মত: ডা. জাফরুল্লাহ