ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের ৫ টি জেলার প্রায় ৭০০০ অভাবী পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন নবগঠিত সরকার। সেই সাথে একটি সামাজিক সংস্থা আরও ৩০০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
নবগঠিত তালিবান সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের এই সহায়তা প্রদানে বড় অবদান রেখেছে দেশপ্রেমিক বিভিন্ন সংস্থা। যারা ইমারতে ইসলামিয়ার পল্লী উন্নয়ন ও পুনর্বাসন বিভাগের অধীনে ৭ হাজার অভাবী পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
ইমারতে ইসলামিয়ার পল্লী পুনর্বাসন ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মৌলভী খান মোহাম্মদ আহমাদ সহায়তা বিতরণকালে বলেন, আজ পাকতিকা প্রদেশের ৫টি জেলার ৭,০০০ অভাবী পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও “এনএসও” নামক একটি সামাজিক সংস্থা প্রায় ৩,০০০ অভাবী ও দুস্থ পরিবারকে আটা, তেল এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে।
মৌলভী আহমদ তার বক্তৃতায় সকল সহযোগী সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও যোগ করেন যে, ইমারতে ইসলামিয়া সর্বদা জনগণকে আরও প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে এবং যোগ্য পরিবারগুলির মধ্যে তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ইমারতে ইসলামিয়ার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন অধিদপ্তরের অধীনে প্রদেশের অপর একটি জেলায় ৫০০ অভাবী ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক জিহাদ সমর্থক ভাই-বোনদের গ্রেফতারি ও তৎসংশ্লিষ্ট কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
মুহতারাম ভাই ও বোনেরা!
গত কিছু দিন পূর্বে বাংলাদেশে আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের নামও আমরা অতিসচেতনভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছি, কেননা এই ফোরামে সেই ভাই-বোনদের নাম উল্লেখ করাটাও হয়তো তাদের জন্য ঝুঁকি সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ উনাদের সম্মানজনক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। দ্বীনের পথে অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। এর সাথে জড়িত তাগুত বাহিনীর প্রতিটি সদস্য থেকে বদলা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
এই ভাইয়েরা যে নিতান্তই সাধারণ ইসলামপসন্দ ও জিহাদপ্রেমী যুবক-যুবতী, তা তো জিহাদি আন্দোলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা ব্যক্তি মাত্রই অবগত। শুধু এই ভাইয়েরা-ই নন, ইতিপূর্বেও অসংখ্য জিহাদপ্রেমী ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের কেউ হয়তো কোন ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন, অথবা লাইক দিয়েছেন অথবা অন্য কিছু করেছেন, যা একজন মুমিনমাত্রই ইমানের তাকাজায় করতেন।
কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে আজ সমগ্র কুফরি বিশ্ব ও তাদের দোসরেরা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও জিহাদপ্রেমীদের গ্রেফতারের নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে। ইতিপূর্বে আমরা এই সকল বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের কতক অবুঝ ভাই বারবার আমাদের সেই সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করেছেন। আর তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন। তো এই পরিস্থিতিতে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করতে চাই-
১- ভাই-বোনেরা কেন গ্রেফতার হলেন?
এই কথার সহজ উত্তর হল তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই ফাঁদগুলোর মাঝে রয়েছে- মুজাহিদিন বা কারাবন্দীদের নামে সাদাকা কালেকশন করা বা সাদাকাতে অংশ নেওয়া, তাগুত কর্তৃক তাদের মোবাইল বা পিসিতে অথবা তাদের সামাজিক মাধমের ইনবক্সে ভাইরাসযুক্ত ফাইল প্রেরণ, অর্থাৎ যেকোনভাবে তাদের আইপি অথবা নাম্বার লিক করার মাধ্যমে তাগুত বাহিনী তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
২- মুজাহিদদের নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলনকারীদের থেকে দূরে থাকুন!
অনেকে আল কায়েদা অথবা অন্য কোন জিহাদি দল বা ব্যক্তির নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলন করে থাকে। এটি যেই করুক, বহু বছরের পুরনো কোন জিহাদি সেলিব্রেটি আইডিও যদি করে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে সন্দেহ করুন! ৯৯% সম্ভাবনা আছে সে তাগুতের সদস্য, অথবা সে কোন আবেগি জিহাদ সমর্থক, সে কেমন যেন নিজেকে ধ্বংসের পাশাপাশি আরও বহু সাধারণ লোকদেরকে বিনামূল্যে তাগুতের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আপনারা হয়তো ‘দারুল জান্নাত’ নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের কথা জেনেছেন, যেখানে যুক্ত অন্তত ৪০+ জিহাদপ্রেমী যুবক ভাইকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আপনি সংখ্যাটা চিন্তা করুন! ৪০ জন লোক তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে! আমার মাঝে মাঝে আফসোস লাগে, আমাদের যুবক ভাইয়েরা এতো আবেগি ও অস্থির কেন? কেন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে তাগুতের হাতে তুলে দেন? কেন তারা আল কায়েদার উমারা ও তাদের সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করে? ইয়া আসাফা!!
৩- অনলাইন জিহাদি আইটি বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন!
সম্প্রতি অনলাইনে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেশ কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে, যারা নিজেদের নামের সাথে উস্তাদ যুক্ত করে নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা নিজেদেরকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবেও জাহির করছেন।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে একজন্য ব্যক্তির ব্যাপারে বলতে চাই, তিনি ‘আবু ইয়াহিয়া’ নামে পরিচিত। আমরা তার বেশ কিছু পোস্ট ও লেখনী পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। এই ব্যক্তি যেসব নিরাপত্তানিত টিপস শেয়ার করছে; সেগুলো মূলত বিভিন্ন জিহাদি সোর্স থেকে নেওয়া, পাশাপাশি তিনি নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত কিছু যোগ করে আইটি বিষয়ে নানা সমাধান দিচ্ছেন। আর দাবি করছেন এগুলো উনিই লিখেছেন। এখানে আরও শঙ্কার বিষয় হল, এই ধরণের ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আল কায়েদা সমর্থক অথবা সদস্য বলে দাবি করছেন। আমরা এই ব্যক্তিকে ভালো-মন্দ কিছু বলতে চাই না, তবে তিনি নিজেকে যেভাবে পেশ করছেন, সেটি নিঃসন্দেহে সন্দেহের উদ্রেক করে-
এ সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দু’টি মূলনীতি আমি সম্মানিত ভাইদের কাছে পেশ করতে চাই-
ক- জিহাদি কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট আইটি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার উত্তর অনলাইনে যার তার কাছ থেকে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমরা আপনাকে উৎসাহ দিবো আপনারা অবশ্যই আল কায়েদার অফিসিয়াল ফোরাম ও ওয়েবসাইটগুলোতে জিজ্ঞাসা করুন। এছাড়া যে কোন ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকুন! যদি অফিসিয়াল ফোরাম বা সাইটে উত্তর দেওয়া হয়, তাহলে ভালো আলহামদু লিল্লাহ, অন্যথায় সবর করুন!
খ- কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইটি সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেও, তা নিয়ে আমভাবে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি নেই। তবে আপনারা অবশ্যই ‘আল কায়েদার সমর্থক বা অনুসারী অথবা এই সমাধান আল কায়েদার মুজাহিদদের দেওয়া’, এমনটি বলা থেকে বিরত থাকুন! কেননা আপনার এই লেখা ও তার ফলাফলের জিম্মাদারি কেবলই আপনার!
৪- আল কায়েদা অনলাইনে সদস্য গ্রহণ করে না!
আল কায়েদা ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম বা অন্য কোন সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সদস্য গ্রহণ করে না। টাকা তুলে না। কেউ যদি আপনাকে ম্যাসেজ করে এমন কোন কথা বলে তাহলে নিশ্চিত জানবেন সেই ব্যক্তি ভেজাল।
আবার অনেক ভাইকে দেখা যায় অনলাইনে কেউ জিহাদ নিয়ে দু’ কলম লিখলেই ‘জিহাদি সংগঠনে’ যোগ দেওয়ার ইচ্ছায় তাকে ম্যাসেজ করে বসেন। পরবর্তীতে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তি তাকে কারাগারে পৌছিয়ে দিয়েছে। একবার এক ভাই আমাদের ফোরামে মশওয়ারা চেয়েছেন, অমুক লোক অনলাইনে ভালো লেখেন, তার মাধ্যমে আমি তানযিমে যোগ দিতে চাচ্ছি, অথবা তার সাথে অফলাইনে যোগ দিতে চাচ্ছি, আমরা সেই ভাইকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের বাতলে দেওয়া উসুল অমান্য করেছেন। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়েছেন, যা মিডিয়াতেও এসেছিল।
এমনিভাবে অনেক লোককে অনলাইনের মাধ্যমে সংগঠন করা বা লোকদেরকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
এই ধরণের লোকদের থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা আবশ্যক। কেননা, এই সকল ক্ষেত্রের প্রায় ক্ষেত্রে তাগুতের ফাঁদ বলেই প্রমাণিত হয় এবং সাধারণ ভাইয়েরা গ্রেফতার হন। সুতরাং অনলাইনে কোন তানযিমে যোগ দেওয়া বা কোন তানযিম গড়ে তোলা থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকুন! কেউ এই ধরণের অফার দিলে অতিঅবশ্যই তাকে সন্দেহ করুন ও এড়িয়ে চলুন!
৫- অনলাইনে জিহাদি মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার উপায়?
জিহাদি মিডিয়ার ভাইয়েরা অনলাইনে জিহাদি মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার উপায় রেখেছেন। এই ব্যাপারে ভাইয়েরা কিছু নীতিমালাও রেখেছেন, সে ব্যাপারে সবার অবগত হওয়া উচিত-
কীভাবে অনলাইনে জিহাদি সংগঠনে যুক্ত হবেন?
https://justpaste.it/contactalfirdaws
https://web.archive.org/web/20211116140730/https://justpaste.it/contactalfirdaws
তবে অংশগ্রহণকারী ভাইদের উচিত হল, যাদেরকে কাজ করে দিবেন, তাদের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হবেন যে তারা আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট ভাই কিনা? কেননা অন্যদের ব্যাপারে আমরা কোনভাবেই দায় নিবো না। পাশাপাশি ফাইল আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। অনলাইনে পড়া যায় বা দেখা যায় এমন ফাইল-ই আদান-প্রদান করা কাম্য। কেননা ফাইল আদান-প্রদানের সময় আপনার পিসিতে ভাইরাস ঢুকে আপনার আইপি ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬- জিহাদি কাজে টর ব্রাউজার অথবা ভালো মানের ভিপিএন ইউজ করুন!
সম্মানিত ভাইয়েরা! এই ছিল বিক্ষিপ্ত কিছু কথা। ওয়াল্লাহি এতে কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নেই ও ছিল না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাই। নিজে নিরাপত্তা গ্রহণ করুন! নিরাপত্তার সাথে মুজাহিদদের আকিদা-মানহাজ প্রচার করুন! তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন! সর্বোপরি সকাল-সন্ধ্যার আযকার আদায়ে সচেষ্ট হোন। নিজের জন্য ও আপনাদের সকল মুজাহিদ ভাইদের জন্য দুয়া করুন।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
Zajakallah
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। তাগুতের ফাঁদ থেকে হিফাযত করুন। আমীন