গত ৬ ডিসেম্বর ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের প্রথম মিটিং দিল্লীতে অনুস্থিত হয়েছে। এতে মূল বিষয়বস্তু ছিল ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ।
তবে অনুষ্ঠানটিতে তালিবান সরকারকে নিয়ে কিছু সংশয় সৃষ্টি হওয়ায়, গতকাল ৭ ডিসেম্বর এই মিটিং নিয়ে একটি পৃথক বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিটি হুবহু পাঠকের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হল-
আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য আরও ভাল সমন্বয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ধরনের বৈঠককে স্বাগত জানায়। এবং একটি ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, সংহত ও সুরক্ষিত আফগানিস্তানের সমর্থন এবং সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা’ প্রকাশ করে দেয়া এই বৈঠকের ঘোষণারও প্রশংসা করে; যা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির সমর্থক।
ইসলামী আমিরাত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আফগানিস্তানের মাটি থেকে এই অঞ্চল ও বিশ্বের কাউকে হুমকির সম্মুখীন হতে দেবে না এবং নিজেরাও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
ইমারতে ইসলামিয়া উত্তর-দক্ষিণ আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডোরে চাবাহার বন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। আমরা এই বিষয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং সুবিধা প্রদান করতে প্রস্তুত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী উপাদানগুলিকে আফগানিস্তানে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে বিবৃতিতে প্রকাশ করা উদ্বেগকে আমরা ভুল হিসাবে বিবেচনা করি।
আমরা আশা করি, ২০২৩ সালের মে মাসে ভারত ও মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা/সচিবদের দ্বিতীয় বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। যেখানে আইইএ প্রতিনিধিদের উপস্থিতি পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তার প্রতি আস্থা, মানব ও মাদক পাচার প্রতিরোধ, আফগানিস্তানের জনগণ মানবিক সহায়তা প্রদান এবং বিশেষ করে মৌলিক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে।
এখানে বিষয়টি স্পষ্ট যে, ইমারতে ইসলামীয়া আফগানিস্তানকে কোণঠাসা করতে বিরোধী শক্তি এখনো বদ্ধপরিকর। তবে ইমারতে ইসলামিয়া বরাবরের মতোই বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করে দিতে রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করে আসছে। আর তারই অংশ ছিল গত ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই বিবৃতিটি।