ব্রেকিং || পাক-আফগান সীমান্তে ফের তীব্র সংঘর্ষ: হতাহত ৪৮

1
1449
সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আফগান বাহিনী

বৃটিশদের তৈরি কল্পিত ডুরান্ড লাইন পাক-আফগান বাহিনীর মাঝে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সংঘর্ষের ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করছে। আফগানিস্তানে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর ডুরান্ড লাইনে এই সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে অসংখ্য সৈন্য হতাহত হচ্ছে।

১১ ডিসেম্বরও কল্পিত এই ডুরান্ড লাইনের চমন এলাকায় ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ও বৃটিশদের গোলাম গাদ্দার পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ৭ জন নিহত এবং আরও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। বিপরীতে ইমারাতে ইসলামিয়ার ১ জন সীমান্তরক্ষী শহিদ এবং বেসামরিক নাগরিক সহ আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।

চমন সীমান্ত ইমারাতে ইসলামিয়ার সামরিক কনভয়

সূত্র মারফত জানা যায়, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা চমন সীমান্তে একটি সামরিক পোস্ট বসাচ্ছিলেন। এতে পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী মুজাহিদদের বাঁধা দেয়। এই সূত্র ধরেই উভয় বাহিনীর মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গুলাগুলি শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। এই সংঘর্ষ টানা ৪ ঘন্টা ধরে চলতে থাকে।

সংঘর্ষ শুরু হলে, ইমারাতে ইসলামিয়া সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাকি সেনাদের কঠিন হস্তে দমন করেন। মাটিতে পড়ে থাকা পাকি বাহিনীর বেশ কিছু আহত এবং মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে সাতটি মৃতদেহ এবং ৩০ জন আহত সেনাকে চমনের সিভিল হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয়দের মতে, রাতেও ঐ সীমান্ত এলাকায় দুই সামরিক বাহিনীর মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্ত উভয় দেশের শতশত সেনা ভারী অস্ত্র শস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরও সীমান্তে পাকি-বাহিনী কর্তৃক মুসলিম নারীদের অপমান ও সড়ক নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পরপর দুটি সংঘর্ষ হয়েছে। সেসময় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৭ সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়েছিল।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার হায়দ্রাবাদে হালাল বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো
পরবর্তী নিবন্ধমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়াতে ভারতীয় ANI মিডিয়ার দ্বিচারিতা