আম্মুরিয়া অবরোধ
আঙ্কারা থেকে আম্মুরিয়ার দূরত্ব ছিল ৭ দিনের পথ। মুসলিম বাহিনী ৩ দিন আঙ্কারায় অবস্থান করে আম্মুরিয়া অভিমুখে যাত্রা করে। পুরো বাহিনীকে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়: ডান অংশ, বাম অংশ ও মধ্যভাগ। ডান অংশের নেতৃত্ব অর্পিত হয় সেনাপতি আফশিনের ওপর। বাম অংশের নেতৃত্ব অর্পিত হয় সেনাপতি আশনাসের ওপর আর মধ্যভাগের নেতৃত্ব থাকে স্বয়ং খলিফার হাতে। এক বাহিনী থেকে অপর বাহিনী ৬ মাইল দূরত্ব রেখে পথ চলতে থাকে।
শত্রুর বুকে কাঁপন ধরিয়ে মুসলিম বাহিনী এগিয়ে চলে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ শহর আম্মুরিয়া অভিমুখে। প্রতিশোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে সবার অন্তরে। ইসলামি খিলাফতের ভেতরে ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, মুসলিম যুবকদের নির্বিচারে জবাই করা আর মুসলিম নারীদের ধর্ষণ ও গ্রেফতার—বাইজান্টাইন সম্রাটের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। খলিফার নির্দেশে তাই, আঙ্কারা ও আম্মুরিয়ার মধ্যবর্তী সব গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের গ্রেফতার, আর তাদের ধনসম্পদ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে জব্দ করা হয়; জিবাত্রায় গণহত্যার শিকার একেকজন মুসলিমের প্রতিফোঁটা রক্তের পাওনা যেন আদায় করা হতে থাকে।
নিজ বাহিনী নিয়ে খলিফা যেদিন আম্মুরিয়া পৌঁছান, সে দিনটি ছিল ২২৩ হিজরীর ৬ রামাদান, শুক্রবার। এর একদিন আগে সেনাপতি আশনাস ও একদিন পরে ডান অংশের সেনাপতি আফশিনও পৌঁছে যান আম্মুরিয়ায়।
খলিফা এসেই চতুর্দিক থেকে আম্মুরিয়া দুর্গটি ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রাচীরের কোথাও কোনো খুঁত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। পর্যবেক্ষণ করে তিনি তখন বুঝতে পারলেন—কেনো এই শহরটিকে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর বলা হয়। ঐতিহাসিকদের লেখাতেও তৎকালীন আম্মুরিয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনু কাসির (মৃত্যু: ৭৭৪ হিজরী) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে লিখেছেন, “আম্মুরিয়া ছিল অনেক বড় একটি শহর। শহরটি চতুর্দিক থেকে উঁচু, চওড়া ও সুদৃঢ় প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। প্রাচীরের ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল অনেকগুলো পর্যবেক্ষণ-টাওয়ার। প্রতিটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে পর্যাপ্ত অস্ত্র ও সৈন্য মজুদ ছিল এবং প্রত্যেকটির জন্য একজন করে কমাণ্ডার নিয়োজিত ছিল। সব মিলিয়ে আম্মুরিয়াবাসী অত্যন্ত সুরক্ষিত ও নিরাপদ অবস্থায় শহরের ভেতর অবস্থান করছিল।”
দুর্গটির পর্যবেক্ষণ শেষ হলে খলিফা কমাণ্ডারদের একত্রিত করেন এবং সবগুলো পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তাদের মাঝে বণ্টন করে দেন, যেগুলোর সংখ্যা ছিল ৪৪ টি। কোথায় মিনজানিক স্থাপন করলে দ্রুত দুর্গের প্রাচীর ভাঙা যাবে সে বিষয়েও তাদের সাথে পরামর্শ করেন তিনি।
বাইজান্টাইন বাহিনী
আঙ্কারার উপকণ্ঠে সংঘটিত যুদ্ধে পরাজয়ের পর সম্রাট তোফাইল কনস্টান্টিনোপল চলে যায়। এই মুসলিম বাহিনীর মোকাবেলা করা যে সম্ভব না, তা বুঝতে আর বাকি থাকেনি তার। তাই সে মোকাবেলার চেষ্টা না করে কনস্টান্টিনোপল বসে বসে শুধু খবরাখবর নেওয়ার মধ্যেই নিজের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখে। তবে অবরুদ্ধ আম্মুরিয়া দুর্গের ভেতরে ৩০ হাজারের অধিক বাইজান্টাইন সেনা ছিল, আর মুসলিম বাহিনীর বর্তমান যুদ্ধ এদের বিরুদ্ধেই। তাছাড়া পেছন থেকে সম্রাট কোনো বাহিনী নিয়ে এসে অতর্কিত আক্রমণ করবে—এমন ভয়ও আপাত দৃষ্টিতে নেই। কারণ, আঙ্কারার উপকণ্ঠে সংঘটিত যুদ্ধের পর বাইজান্টাইন বাহিনী প্রায় পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল।
সন্ধির চেষ্টা
সম্রাট যখন নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারে যে, আম্মুরিয়া রক্ষা করার শক্তি তার নেই, তখন সে সন্ধির পথ বেছে নেয়। জিবাত্রা আক্রমণের জন্য ক্ষমা চেয়ে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরগুলোর পুনর্নির্মাণ ও গ্রেফতারকৃত নারীদের মুক্ত করার অঙ্গীকার করে খলিফার কাছে দূত মারফত পত্র পাঠায় সে। পত্রের মধ্যে সন্ধির আবেদন করে রোমান সম্রাট, কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চায় সে। কিন্তু তার পত্রবাহককে খলিফা আম্মুরিয়া থেকে তিন মাইল দূরে আটকে রাখেন। আম্মুরিয়া বিজয় সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয়।
প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য ফাঁস
আম্মুরিয়া অবরোধ দীর্ঘ হতে লাগল। পরিস্থিতি এমন যে—বাইজান্টাইন সেনারা শহরের ভেতর থেকে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, আর প্রাচীরের বাহিরে গভীর পরিখা থাকার কারণে মুসলিম সেনারা প্রাচীরের কাছেও ঘেঁষতে পারছে না। মিনজানিক স্থাপন করে দূর থেকে প্রাচীর লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে৷ কিন্তু প্রাচীর অত্যন্ত মজবুত ও শক্তিশালী হওয়ায় কোনো ফলাফল আসছে না৷
এই পরিস্থিতিতে মুসলিমদের সামনে প্রকাশ হয়ে যায় বাইজান্টানদের প্রতিরক্ষা দুর্বলতা সম্পর্কিত একটি ঘটনা; যা ছিল ময়দানে অবিচল মুসলিম বাহিনীর প্রতি আল্লাহ্ তাআলার সাহায্যস্বরূপ।
কিছুদিন আগে প্রচণ্ড বন্যায় প্রাচীরের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। সম্রাট তোফাইল দুর্গপতিকে তা দ্রুত ঠিক করতে বলেছিল। কিন্তু সে অবহেলা করতে করতে দেরি করে ফেলে। এরই মাঝে একদিন সে জানতে পারে, সম্রাট আম্মুরিয়া আসছে। তখন সে জবাবদিহিতার ভয়ে দ্রুত কোনোরকমে প্রাচীরের উক্ত ভাঙা অংশটি মেরামত করে রাখে। ফলে প্রাচীরের নির্দিষ্ট ঐ অংশটুকু খুবই দুর্বল থেকে যায়।
দুর্গের ভেতর থেকে এক ব্যক্তি এসে খলিফাকে এই তথ্য জানিয়ে দেয়। খলিফা জানতে চাইলেন, “তুমি কে? আমাকে এই তথ্য কেনো দিচ্ছো?”
আগন্তুক নিজের পরিচয় তুলে ধরে এভাবে—“আমি আগে মুসলিম ছিলাম। একসময় বাইজান্টাইন সেনাদের হাতে বন্দী হয়ে তাদের ধর্ম গ্রহণ করি। আমি ভেবেছিলাম, বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য থেকে আমার মুক্তির কোনো উপায় নেই। তাই সারাজীবন তাদের গোলামী করার চেয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে মুক্ত হয়ে যাই। কিন্তু এখন স্বজাতিদের দেখে নিজেকে আর লুকিয়ে রাখতে পারিনি। আমি চাই আপনারা এই দুর্গ দখল করুন এবং নিরপরাধ মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করুন, যারা নিজেদের ধর্মান্তরিত হওয়ার উপর সারাজীবনের বন্দীত্বকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিনিয়ত অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।“
মুসলিম বাহিনীর জন্য তথ্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রাচীরের উক্ত ত্রুটিপূর্ণ স্থানে অনবরত পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে মুসলিম বাহিনী। তথ্য সঠিক প্রমাণিত হয়, অল্পতেই প্রাচীরের ঐ দুর্বল অংশ ভেঙে পড়ে। কিন্তু শহরবাসী কাঠ প্রভৃতি দিয়ে খুব দ্রুত ভেঙে পড়া অংশ মেরামত করে নেয়।
মিনজানিক দিয়ে পাথর নিক্ষেপ অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি পরিখা ভরাট করার জন্য খলিফা এক অভিনব কৌশল আবিষ্কার করেন। ভেড়া-বকরির চামড়ার ভেতর মাটি ভরে তা পরিখায় নিক্ষেপ করতে বলেন। এভাবে করতে করতে প্রাচীরের একপাশের পরিখা ভরাট হয়ে প্রাচীর পর্যন্ত পৌঁছার সুন্দর রাস্তা হয়ে যায়।
শেষ যুদ্ধ
পরিখা ভরাট করে যখন প্রাচীর পর্যন্ত পৌঁছার রাস্তা তৈরি হয়ে গেলো, ঠিক তখনই প্রাচীরের সেই দুর্বল অংশটি বিকট আওয়াজে ধ্বসে পড়ল। বাইজান্টাইন বাহিনী তখন যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল সেই স্থানে। সংকীর্ণ জায়গার মধ্যেই উভয় বাহিনীর মাঝে শুরু হলো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
যুদ্ধের স্থান যেহেতু সংকীর্ণ তাই একসঙ্গে সবাই যুদ্ধ করতে পারছিল না। এদিকে বাইজান্টাইন বাহিনীও দুর্গের বাইরে খোলা ময়দানে এসে যুদ্ধ করছিল না আর মুসলমানদেরকেও ভেতরে ঢুকে প্রশস্ত জায়গা নিয়ে যুদ্ধ করার সুযোগ দিচ্ছিল না। এভাবেই যুদ্ধ হলো টানা তিন দিন। কিন্তু না জয়; না পরাজয়।
বাইজান্টাইন সেনাদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হলেও তারা ময়দান ছাড়ছে না, মরণপণ লড়ছে। মুসলিম বাহিনীকে তারা কিছুতেই শহরে প্রবেশ করতে দেবে না। অপরদিকে মুসলিম বাহিনীও হেরে যেতে আসেনি। যেকোনো মূল্যে তারা শহর জয় করবেই করবে৷ তিন দিন পর্যন্ত উভয় বাহিনী আপন আপন লক্ষ্যে অটল থাকে, কেউ কাউকে তিল পরিমাণ ছাড় দেয় না৷
তবে চতুর্থদিন সকালে বাইজান্টাইন সেনারা আর মুসলিম বাহিনীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। আল্লাহর ইচ্ছায় সেদিন মুসলিম বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলে মুসলিম বাহিনী প্রবল স্রোতের মতো শহরে প্রবেশ করতে থাকে। জিবাত্রায় মুসলিম গণহত্যার প্রতিশোধ স্বরূপ শহরবাসী যাকে যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই হত্যা করা হয়, আর তাদের একটি বড় অংশই ছিল রোমান সেনা এবং তাদের সাহায্য-সমর্থনকারী।
বাইজান্টাইনদের গির্জাগুলোও সেদিন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আম্মুরিয়া দুর্গের প্রতি ইঞ্চি মাটি প্লাবিত হয় অত্যাচারী রোমকদের রক্তে, শহরের অলি-গলিতে তাদের রক্তের স্রোত বয়ে যায়, নির্যাতিতের হাতে পতন ঘটে অত্যাচারী শক্তির।
গ্রেফতারকৃত মুসলিম মা-বোনদের হৃদয় এদিন প্রশান্তি লাভ করেছিল। জিবাত্রায় যাদের আত্মীয়স্বজনকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল, তারাও সেদিন কৃতজ্ঞতার সেজদায় লুটিয়ে পড়েছিল।
ঐতিহাসিক এ দিনটি ছিল ১৭ রামাদান ২২৩ হিজরি মোতাবেক ১২ আগস্ট ৮৩৮ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার। আল্লাহর ইচ্ছায় এদিন কাফেরদের সব দম্ভ অহঙ্কার মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। ২রা হিজরির ১৭ রামাদানে যেভাবে মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে আল্লাহ তা’আলা মুসলিম বাহিনীকে বিজয় দান করেছিলেন, তেমনিভাবে ২২৩ হিজরির ১৭ রামাদানেও বাইজান্টাইন বাহিনীর বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীকে বিজয়ী করেছেন। ফালিল্লাহিল হামদু ওয়া লাহুশ শুকর।
হতাহত, গ্রেফতার ও মালে গনিমত
অত্যাচারী রোমকদেরকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে টানা কয়েকদিন পর্যন্ত তাদের উপর চালানো হয় ব্যাপক অভিযান; রোমক সৈন্যদেরও খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হতে থাকে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা।
এ যুদ্ধে রোমকদের হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আল্লাহ তা’আলাই ভালো জানেন। ঐতিহাসিকদের মতে নিহত সৈন্যদের সংখ্যাই ছিল ৩০ থেকে ৭০ হাজার (আঙ্কারা ও আম্মুরিয়া—উভয় যুদ্ধ মিলে), আর নিয়মিত বাহিনীর সদস্যদের বাইরে নিহত যুদ্ধসক্ষম কাফেরদের সংখ্যা অজ্ঞাত।
হত্যা না করে গ্রেফতারও করা হয় অনেককে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে যারা সম্ভ্রান্ত ও নেতৃত্বস্থানীয়, তাদেরকে রেখে বাকিদের পাহাড় থেকে ফেলে হত্যা করা হয় জিবাত্রায় মুসলিম গণহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে; আর এদের সংখ্যাই ছিল ৬ হাজার।
মুসলিম বাহিনী আম্মুরিয়া দুর্গ থেকে এত পরিমাণ গনিমত হাসিল করেছিল যে, ঐতিহাসিকরা এর কোনো সঠিক হিসাব তুলে ধরতে পারেননি। বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো যেগুলো ছিল সেগুলোই শুধু নেওয়া হয়, বাকি সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মিনজানিক, কামানসহ মুসলিম বাহিনী যেসব ভারী অস্ত্র সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল সেগুলোও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, যেন পরবর্তী সময়ে রোমকরা এগুলো দিয়ে উপকৃত হতে না পারে।
এ যুদ্ধের পর সম্রাট তোফাইল ইবনে মিখাইল এমনভাবে ভেঙে পড়ে যে, অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে অসুস্থ হয়ে যায় এবং মাত্র ৩ বছরের মাথায় মারা যায়।
খলিফা মুতাসিম বিল্লাহ ২৫ দিন আম্মুরিয়া অবস্থান করে শাওয়ালের শেষের দিকে তরসুসের দিকে যাত্রা করেন। পিছনে ফেলে যান বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের একসময়ের গর্বের প্রতীক, অজেয়-খ্যাত সবচেয়ে সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ শহর আম্মুরিয়ার ধ্বংসাবশেষ। আর আমাদের জন্য রেখে যান এক অনুপম শিক্ষা। যে শিক্ষা মাজলুম মা-বোনদের ব্যাপারে আপসহীন হতে শেখায়, মুমিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল আর কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হতে শেখায়।
তথ্যসূত্র:
(১) https://ar.m.wikipedia.org/wiki/%D9%85%D8%B9%D8%B1%D9%83%D8%A9_%D8%B9%D9%85%D9%88%D8%B1%D9%8A%D8%A9
(২) তারিখে তাবারী
(৩) আল-কামিল ফিত তারিখ
(৪) আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
(৫) তারিখে ইবনে খালদুন
আগের পর্বগুলো পড়ুন :
১। বিজয়ের মাস: মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ
|| পর্ব-১ ||
সারিয়্যায়ে হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব: ইসলামের প্রথম যুদ্ধাভিজান
– https://alfirdaws.org/2022/04/01/56426/
২। বিজয়ের মাস: মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ
|| পর্ব-২ ||
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ: ইসলামের প্রথম বিজয়াভিজান [প্রথম কিস্তি]
– https://alfirdaws.org/2022/04/05/56473/
৩। বিজয়ের মাস: মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ
|| পর্ব-৩ ||
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ: ইসলামের প্রথম বিজয়াভিযান [দ্বিতীয় কিস্তি]
– https://alfirdaws.org/2022/04/09/56561/
৪। বিজয়ের মাস: মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ ।। পর্ব-৪ ।। ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ: ইসলামের প্রথম বিজয়াভিযান [তৃতীয় কিস্তি]
– https://alfirdaws.org/2022/04/14/56664/
৫। বিজয়ের মাস: মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ।।পর্ব-৫।। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়: আরব উপদ্বীপে পৌত্তলিকদের নাপাক আধিপত্যের অবসান।(প্রথম কিস্তি)
– https://alfirdaws.org/2022/04/18/56729
৬। বিজয়ের মাস : মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ।।পর্ব-৬।। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়: আরব উপদ্বীপে পৌত্তলিকদের নাপাক আধিপত্যের অবসান।(দ্বিতীয় কিস্তি)
– https://alfirdaws.org/2022/04/23/56840/
৭। বিজয়ের মাস; মাহে রমাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ।।পর্ব-৭।। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়; আরব উপদ্বীপে পৌত্তলিকদের নাপাক আধিপত্যের অবসান।(শেষ কিস্তি)
– https://alfirdaws.org/2022/05/01/56964/
৮। বিজয়ের মাস; মাহে রামাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ।। পর্ব-৮।। ১৩ হিজরীর ১২ রমাদান, ঐতিহাসিক বুওয়াইবের যুদ্ধে পারস্য বাহিনীর বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর অবিশ্বাস্য বিজয়।
– https://alfirdaws.org/2023/03/26/62805/
৯। বিজয়ের মাস; মাহে রামাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ || পর্ব-৯ || ২২৩ হিজরীর ১৭ রমাদান, বাইজান্টাইনের সর্বাধিক সুরক্ষিত ও অজেয়-খ্যাত আম্মুরিয়া শহর বিজয়। (প্রথম কিস্তি)
– https://alfirdaws.org/2023/04/02/62870/
১০। বিজয়ের মাস; মাহে রামাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ || পর্ব-১০ || ২২৩ হিজরীর ১৭ রমাদান, বাইজান্টাইনের সর্বাধিক সুরক্ষিত ও অজেয়-খ্যাত আম্মুরিয়া শহর বিজয়। (দ্বিতীয় কিস্তি)
– https://alfirdaws.org/2023/04/13/62951/
১১। বিজয়ের মাস; মাহে রামাদানের গৌরবদীপ্ত বিজয়-সিরিজ || পর্ব-১১ || ২২৩ হিজরীর ১৭ রমাদান, বাইজান্টাইনের সর্বাধিক সুরক্ষিত ও অজেয়-খ্যাত আম্মুরিয়া শহর বিজয়। (তৃতীয় কিস্তি)
– https://alfirdaws.org/2023/04/18/62992/