
পাকিস্তান আবারও ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারের বিষয়ে মন্তব্য করেছে এবং জানিয়েছে, পাকিস্তান এই ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে। তবে ইসলামাবাদ সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার কথা অস্বীকার করেছে।
গত ৭ মার্চ আরিয়ানা নিউজ এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান দাবি করেছে যে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া এই সামরিক সরঞ্জাম পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারা জানায়, ‘যদি ওয়াশিংটন সরঞ্জামগুলি উদ্ধার করতে পারে, তাহলে এটি সামগ্রিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিবেশের জন্য সহায়ক হবে।’
তবে বাস্তবতা হলো, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদদ দিয়ে আসছে। ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম গণিমতের মাল হিসেবে বিবেচিত এবং এটি ফেরত দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
পাকিস্তানের এই নতুন প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে একটি সুস্পষ্ট অপকৌশল, যা মূলত ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। ইমারতে ইসলামিয়া দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ভেতরে কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না এবং মার্কিন বাহিনীর ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্জাম কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান মূলত এই ইস্যু ব্যবহার করে নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়, রাজনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং নিজ দেশে চলমান নিরাপত্তা সংকট থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করা হয়।
তথ্যসূত্র:
1. Pakistan backs Trump’s push to recover military equipment left behind in Afghanistan
– https://tinyurl.com/5n7m93ef