
টানা ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গোমতী নদীর পানি প্রতি মুহূর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। গত বছরের বন্যার ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে না পারা এসব মানুষ এখন আরেকটি বন্যার মুখোমুখি। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় গোমতী নদীর পানি ৯ দশমিক ৬৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এ নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩ মিটার। সুতরাং এখন বিপৎসীমার মাত্র ১ দশমিক ৬২ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
আগের ২৪ ঘণ্টা (মঙ্গলবার-বুধবার) টানা ভারী বর্ষণ হয়েছে। এরপর বুধবার (৯ জুলাই) সারা রাত থেমে থেমে বৃষ্টি পড়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আবার শুরু হয়েছে অঝোর বৃষ্টি, সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বর্ষণ চলে।
বৃষ্টি থামলেও থেমে নেই ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার পানি আসছে গোমতী নদীতে। ফলে নদীর কুমিল্লা অংশে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৪২ মিটারে। বুধবার সকাল ৮টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ৮ মিটারে। বুধবার দিনব্যাপী নদীর পানি ১ দশমিক ৪২ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীটির পানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৬ মিটার। ৪৮ ঘন্টায় গোমতী নদীর পানি বেড়েছে ৫ থেকে ৬ মিটারের মতো।
অন্যদিকে, গত বছরের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারা মানুষজন নতুন করে বন্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এসব মানুষের উৎকন্ঠা গেল বছরের চেয়েও বেশি।
আমির আলী নামে নদী পাড়ের এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, একটা বছরও পার হলো না, নতুন করে আবার বন্যার আশঙ্কা। গত বছর বন্যায় ঘর তলিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নতুন ঘর পেয়েছি। এটাও যদি ভেসে যায়, এবার আর কোনো উপায় থাকবে না।
তথ্যসূত্র:
১.বিপৎসীমার দেড় মিটার নিচে গোমতী নদীর পানি, উৎকণ্ঠায় বাসিন্দারা
-https://tinyurl.com/2bvapst7


