কলেজ শিক্ষিকাকে গালাগাল ও শারীরিক হেনস্থা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতার

0
1630
কলেজ শিক্ষিকাকে গালাগাল ও শারীরিক হেনস্থা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতার

টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপিসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওই কলেজের এক নারী প্রভাষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলা শহরের বাজারে কেনাকাটা করাকালে ওই প্রভাষক এ ঘটনার শিকার হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ত্রাসী বাহিনীর ওই সদস্যরা হলো নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, উপজেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিকুর রহমান বিপ্লব।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি বর্ণনা তুলে ধরেন। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমরা কি ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। নিজে আজ শত শত মানুষের সামনে নাগরপুরের বাজারে মাত্র ৩-৪ জন ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের কাছে চরমভাবে নিগৃহীত ও শ্লীলতাহানীর শিকার হলাম, তখন একটি মানুষও আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো না। নাগরপুর সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইলের একজন শিক্ষক হিসেবে নিজের কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী মামুন ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী বিপ্লব ও বাবু কর্তৃক শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হলাম তা কতটা অভাবনীয় তা বলে বুঝাতে পারব না।

তারা শত শত মানুষের মাঝখানে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং কাপড় ধরে টানাটানি করে, একপর্যায়ে টান দিয়ে আমার মাথার কাপড় খুলে ফেলে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি প্রশাসনের কাছে থানায় অভিযোগ দেব এই কথা বলে আমার নিজের পরিচয় দেওয়ার পর তার আরও আস্ফালন করে বলে যে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি তাদের পকেটে থাকে। তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি সরকারি কলেজে প্রভাষক এটা শুনে যেন তাদের উৎসাহ আরও বেড়ে যায়।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমার যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে নাগরপুরের অন্যান্য মেয়েদের কি অবস্থা আমি চিন্তা করতে পারছি না।

ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি নাগরপুরের ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে থানায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দিয়েছি আজ মামলা করব বলে স্থির করেছি। আমি নাগরপুর টাংগাইলের এই ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। এবং আমি তাদের বিচার নিশ্চিত করা না পর্যন্ত শান্ত হবো না বলে প্রতিজ্ঞা করেছি।
খবরঃ আমাদের সময়

এ ছাড়া নাগরপুরের রাস্তাঘাটে তারা যেন নারীদের আর কোনোভাবে হেনস্তা করতে না পারে তার জন্য যা যা করা দরকার আমি করব।

ঘটনার পূর্ণ বিবরণী মানসিক অবস্থায় দেওয়া সম্ভব নয়। একটু সুস্থির হলে আমি ঘটনার বিবরণ সবার সামনে তুলে ধরব। ঘটনাটি রাত্রিবেলায় হওয়ায় উপযুক্ত সকল কর্তৃপক্ষকে জানানো সম্ভব হয়নি।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় কে জানানো হয়েছে।

আমি যেন মানসিকভাবে শক্ত থাকতে পারি তার দোয়া সকলের কাছে চাচ্ছি এবং সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘তনুকে সবাই ভুলে গেছে’- মামলারও কোনও অগ্রগতি নেই
পরবর্তী নিবন্ধভারতে ত্রিশ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা !