কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া দেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে দোকান খোলায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গণহারে চাঁদাবাজির এক পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়কুমিরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে তিন যুবক উপজেলার কুমিরা বাজারে একটি প্রাইভেটকারযোগে উপস্থিত হয়। একজন নিজেকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলার কারণ কী- এমন প্রশ্ন করে ধমকাতে থাকেন। তার সঙ্গে পিস্তলের বাক্স থাকায় তাকে সিভিল পুলিশ মনে করে ভয় পেয়ে যায় ব্যবসায়ীরা।
তিনি অন্তত ১২-১৫টি দোকান থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। কয়েকজন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহেল রানা জোর জবরদস্তি তাদের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুটে নিতে থাকেন।
পরে এলাকাবাসী তিনজনকেই আটক করে গণধোলাই দেয়। তাদেরকে আটক রেখে সীতাকুণ্ড থানায় খবর দিলে ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে ছুটে যান। তারা জনতাকে শান্ত করে এলাকাবাসীকে সাক্ষী করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
আটককৃত সোহেল রানা বর্তমানে দামপাড়া পুলিশ লাইনে আছেন।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মো. সোহেল রানা, তার একজন সোর্স ও গাড়ি চালক নিয়ে জোর করে টাকা লুট করতে থাকে তারা। একজন পুলিশ ক্যাশ থেকে নিজ হাতে টাকা লুট করছে শুনে আমাদেরও সন্দেহ হয়। এর আগে তারা জোড়ামতল বাজারেও চাঁদাবাজি করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই এলাকাবাসীও বিষয়টি সন্দেহ করে তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সোহেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কনস্টেবল। সীতাকুণ্ড থানার অফিসার পরিচয়ে সে এ অপকর্ম করেছে।